সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেশায় সামান্য ব্যবসায়ী। অথচ তাঁর বাড়িতে বিদ্যুতের বিল এল ২১০ কোটি টাকার। এমন সৃষ্টিছাড়া বিদ্যুৎ বিল দেখে মাথায় হাত হিমাচলপ্রদেশের হামিরপুরের বাসিন্দা ললিত ধীমানের। এত টাকার বিল শোধ করার তো কোনও প্রশ্নই ওঠে না, কিন্তু কীভাবে এমন ভূতুড়ে বিল তাঁর বাড়িতে এল তা ভেবে পাচ্ছেন না ধীমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি মাসে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল পান ধীমান। কখনও কখনও তারও কম বিল আসে। তবে গত ডিসেম্বর মাসে এমন অদ্ভূতুড়ে বিল দেখে প্রথমে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি। প্রতিবেশীদেরও বিষয়টি জানান। প্রতিবেশীরাও দেখেন, বিলে টাকার অঙ্ক এসেছে ২১০ কোটি ৪২ লক্ষ ৮ হাজার ৪০৫ টাকা। এরপর তড়িঘড়ি স্থানীয় বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ধীমান। আধিকারিকরাও বুঝতে পারেন যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে কিছু একটা ভুল হয়েছে।
ঘটনার তদন্তে নেমে নতুন করে ওই ব্যক্তির বাড়ির বৈদ্যুতিক মিটার পরীক্ষা করেন আধিকারিকরা। এরপর দেখা যায় তাঁর বিদ্যুতের বিল এসেছে মাত্র ৪,০৪৭ টাকা। বিদ্যুৎ বিভাগের আধিকারিক আশিস কাপুর বলেন, মিটারের কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সফটওয়্যারের কোনও সমস্যার ফলে এই বিল এসেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ অর্থাৎ সাব ডিভিশনাল অফিসারের (SDO) কাছে এই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। তাদের তরফে কোনও গাফিলতি থাকলে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এসডিও-এর তরফেও আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ভুল দ্বিতীয়বার ঘটবে না।