সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১১ বছরের এক বালিকাকে গণধর্ষণের (Gangrape) অভিযোগ উঠল ৬ নাবালকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) খুন্তি জেলার এই ঘটনায় শিউরে উঠছে দেশ। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার রাতে। নির্যাতিতা বালিকা পাশের গ্রামে একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিল। তার সঙ্গে ছিল দুই বান্ধবী। সেই বিয়েবাড়িতে এক নাচের অনুষ্ঠান চলাকালীন অভিযুক্তদের সঙ্গে তার বচসা বাঁধে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা ওই বালিকার পূর্ব পরিচিত।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ ও জাহাঙ্গিরপুরী হিংসায় রং চড়ানো খবর নয়, টিভি চ্যানেলগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের]
এরপর মধ্যরাতে বাড়ি ফেরার সময় ওই ছেলেগুলি এসে মেয়েটি ও তার বান্ধবীদের উপরে চড়াও হয়। নির্যাতিতার বান্ধবীরা জানিয়েছে, অভিযুক্তরা মেয়েটিকে তুলে নির্জন স্থানে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কোনও মতে অভিযুক্তদের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচে বাকিরা। তারাই গিয়ে নির্যাতিতার বাড়িতে খবর দেয়। পরে বাড়ির লোক ঘটনাস্থলে পৌঁছলে অভিযুক্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম দিকে সামাজিক কলঙ্কের ভয়েই কার্যত নীরব ছিলেন মেয়েটির অভিভাবকরা। তাঁদের সংশয় ছিল পুলিশের দ্বারস্থ হওয়া নিয়ে। কিন্তু পরে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন মেয়ের উপরে হওয়া নির্যাতনের ন্যায়বিচার চাইবেন তাঁরা। অবেশেষে বৃহস্পতিবার তাঁরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তদন্তে নামে। ৬ অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার রাজস্থানের চিতোরগড়ের লক্ষ্মীপুরা গ্রামে এক ৩ বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নিগ্রহের চেষ্টা করে এক যুবক। কিন্তু তাকে বারবার বাধা দিতে থাকে মেয়েটি। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত যুবক তাকে কুয়োয় ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে শিশুটির দেহ। মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে, রমেশ ওই মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার আগেএকটি বালককে যৌন নির্যাতন করছিল। কিন্তু ছেলেটি কেঁদে ওঠায় শিশুকন্যাটিকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায় সে।