সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh Fire) কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হল দমকল কর্মীদের। আগুনের তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাদের একাধিক কর্মীও। এদিকে শনিবার বিকেলের অগ্নিকাণ্ডে অগ্নিদগ্ধ হয়েছে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়য়েছে ১২। আশঙ্কাজনক আরও ২০ জন। কমবেশি চোট আঘাত রয়েছে আরও ২০০ জনের। সবমিলিয়ে হাপুর জেলার ঢৌলানা এলাকার এই দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
রাজধানী দিল্লি থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ঢৌলানার বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানার বয়লারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ওই কারখানার একাধিক বিল্ডিংয়ের ছাদ এবং দেওয়ালে ফাটল ধরে। ভেঙে পড়ে জানলা-দরজাও। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় নিকটবর্তী এলাকা। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে কারখানার একাংশ। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় দমকলে একাধিক ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনের তাপ এতটাই বেশি ছিল বহু দমকল কর্মীও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পরই উঠছে প্রশ্ন। আগুনের তীব্রতা এত বেশি হওয়া সত্ত্বেও কেন আরও বেশি সংখ্যক ইঞ্জিন আনা হল না? কেন ব্যবহৃত হল না ফায়ার রোবট?
[আরও পড়ুন: ‘অপরাজিত’ ছবির প্লট কি ধার করা? প্রশ্ন কুণাল ঘোষের]
কারখার বয়লারে কেন বিস্ফোরণ ঘটল, তাও এখনও স্পষ্ট নয়। হাপুরের জেলাশাসক মেধা রূপম জানিয়েছেন, এই কারখানা কর্তৃপক্ষকে বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি তৈরির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। এবার এটা তদন্ত করে দেখতে হবে যে এখানে ঠিক কী কাজ হত। ফরেন্সিক টিম এসে নমুনা সংগ্রহ করছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও (Yogi Adityanath)। এদিকে হাপুরের বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। টুইটারে তিনি লেখেন, “হাপুরের কারখানার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা হৃদয়বিদারক। এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। রাজ্য সরকার সক্রিয়ভাবে উদ্ধারকার্য পরিচালনা করছে। আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থাও করছে সরকার।”\
\প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে হাপুর জেলার কারখানাটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। পরে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে।