সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: মিউচুয়াল ফান্ডে (Mutual Fund) বিনিয়োগের নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা পশ্চিম বর্ধমানে। প্রতারিত মহিলা আদালতের মাধ্যমে অভিযোগ করলেন অভিযুক্ত এজেন্টের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
দুর্গাপুরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সেপকোর বাসিন্দা অনুরাধা গুপ্তা ৬ লক্ষ টাকা একটি মিউচুয়াল ফান্ডে রেখেছিলেন। ব্যবসায়ী ওই মহিলার ফান্ডটি প্রথম-প্রথম বৃদ্ধিও পাচ্ছিল। ২০২০ সালের প্রথম দিক থেকে আচমকাই ফান্ডের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। তাঁর এজেন্ট দুর্গাপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৪ ফুটের বাসিন্দা চন্দন ঘোষ সাফাই দিয়েছিলেন, “করোনার জেরে শেয়ার বাজার খারাপ তাই এখন ‘ফান্ড ভ্যালু’ বাড়ছে না।” তাঁর কথা বিশ্বাসও করে নিয়েছিলেন অনুরাধাদেবী।
[আরও পড়ুন: নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে হাতাহাতি, মাথা ফাটল রোগীর আত্মীয়র! তীব্র উত্তেজনা বারুইপুরের হাসপাতালে]
মাস খানেক পরে অভিযুক্ত এজেন্ট এসে আবার জানান, আরও ভাল ফোলিওতে ওই টাকা রাখুন। ভাল বৃদ্ধি হবে। পারলে আরও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করুন। এজেন্টের কথায়, চন্দনবাবুকে ওই ৬ লক্ষ টাকা-সহ আরও ৬ লক্ষ অর্থাৎ মোট ১২ লক্ষ টাকার চেক দেন। কিন্তু প্রাপকের নাম ফাঁকা রেখে সই করা চেক চন্দনের হাতে তুলে দেন তিনি। মাস খানেক পর ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন তার ১২ লক্ষ টাকা সেই মিউচুয়াল ফান্ডে নয়, গিয়েছে চন্দন ঘোষের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। তারপর যত বারই ফোন করেছেন এজেন্টের ফোন হয় বন্ধ নয় তোলেনি বলে অভিযোগ করেন প্রতারিত অনুরাধা গুপ্তা। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
আদালতের নির্দেশে এই প্রতারণার অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে অভিযুক্ত এজেন্ট পলাতক। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি (পূর্ব) ধ্রুৱজ্যোতি মুখোপাধ্যায় জানান, “তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।”