সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাওবাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ফের বড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর। ছত্তিশগড়ে বিজাপুরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম ১২ মাওবাদী। পাশাপাশি গঙ্গালুর এলাকার পিডিয়া জঙ্গলে মাওবাদীদের ঘিরে ফেলে গুলির লড়াই এখনও চলছে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১২ মাওবাদীর (Naxal) মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আনেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই (Vishnu Deo Sai)। সব মিলিয়ে চলতি বছরে মাত্র ৫ মাসে ১০০ জনের বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh)।
নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রের খবর, গঙ্গালুর থানা এলাকার অন্তর্গত পিডিয়া জঙ্গলে লিঙ্গা, পাপারাও-সহ একাধিক শীর্ষ মাওবাদী নেতার লুকিয়ে থাকার খবর আগে নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে। এর পরই আঁটঘাট বেঁধে এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযানে নামে এসটিএফ, সিআরপিএফ, ডিআইজি ও কোবরা ব্যাটেলিয়ন। অভিযান চলাকালীন পিছু হঠবার জায়গা না পেয়ে মরিয়া হয়ে যৌথবাহিনীর উপর গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা জবাব দেওয়া হয় জওয়ানদের তরফে। দুই তরফে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে।
[আরও পড়ুন: ‘অবাধ নির্বাচনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা’, খাড়গেকে কড়া চিঠি নির্বাচন কমিশনের]
প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৯১ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল ছত্তিশগড়ে। এর পর এই অভিযানে সাফল্যের পর মাওবাদী মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ১০৩-এ। যা ২০১৯ সালের পর সর্বোচ্চ। তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে ১১২ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল এই রাজ্যে। তার আগে ২০১৬ সালে ১৩৪ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়। যৌথ বাহিনীর এই সাফল্যের পর জওয়ানদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'এই সাফল্যের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে আমার অভিনন্দন। আমরা ক্ষমতায় আসার পর মাওবাদের মোকাবিলায় কড়া হাতে মাঠে নেমেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুজনেই মাওবাদকে গোড়া থেকে উৎখাত করতে চান। এটা সেই দবল ইঞ্জিনের সুফল।'
[আরও পড়ুন: ‘উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে খারাপ ফল করবে বিজেপি’, অখিলেশকে পাশে নিয়ে হুঙ্কার রাহুলের]
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৬ এপ্রিল সর্বশেষ বড় অভিযান হয়েছিল ছত্তিশগড়ের কাঙ্কর জেলায়। সে বার নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে মৃত্যু হয় ২৯ জনের। তাদের মধ্যে ছিল শীর্ষ মাও নেতা শংকর রাও। সেই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ২ জওয়ানও। উদ্ধার হয় একে-৪৭সহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র। এর পর ৩০ এপ্রিম আরও একটি অভিযানে মৃত্যু হয় ১০ মাওবাদীর।