স্টাফ রিপোর্টার: সংক্রমণ বেশি, উপসর্গও যথেষ্ট। কিন্তু হাসপাতালে ভরতি হচ্ছে না। মৃত্যু নেই বললেই চলে। করোনার এই প্রজাতিটা কি তৃতীয় ঢেউয়ের মতোই,ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে আইসিএমআরেও (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ)। আলোচনা চলছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরেও। কারণ, বিশেষজ্ঞদের ধারনা তৃতীয় দফার সংক্রমণ যেভাবে বেড়েছিল কিন্তু উপসর্গ কম ছিল, মৃত্যুও কম ছিল, এবারও বোধহয় সেদিকে এগোচ্ছে। অর্থাৎ করোনার এই প্রজাতিটার সংক্রমণ বাড়ালেও মৃত্যু বা অক্সিজেনের দরকার খুব কম পড়ছে।
মাত্র দুদিনের ব্যবধানে দেশের সংক্রমণ ৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুক্রবার রাজ্যে করোনায় (Coronavirus) সংক্রমিত হয়েছিল ১০৭ জন। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যাটা ছিল ৯৫ জন। কিন্তু শনিবার নতুন করে বাংলায় করোনা (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছে ১৩৯ জন। সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
[আরও পড়ুন: অশান্তি রুখতে উলুবেড়িয়ায় জারি ১৪৪ ধারা, অগ্নিদগ্ধ বিজেপি কার্যালয় পরিদর্শনে দিলীপ]
বিশেষজ্ঞদের ধারনা, করোনার এই প্রজাতিটি সম্ভবত ডেল্টা (Delta) গোত্রের। যে প্রজাতি সংক্রমণ বাড়ালেও উপসর্গ কম, ৫-৭ দিনের মধ্যে মানুষ সুস্থ হয়ে উঠছে। অক্সিজেনের প্রয়োজনও পড়ছে না। মৃত্যুও নেই বললেই চলে। তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত তিনবারের মতো এবারও সংক্রমণের শীর্ষে কিন্তু কলকাতা (Kolkata)। ৬২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরে উত্তর ২৪ পরগনা (৪২), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৬), হাওড়া ও হুগলি।
উপসর্গ বাড়ছে, বাড়ছে সংক্রমণও। তবে হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না। চাহিদা কম অক্সিজেনেরও। তবে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বর্তমান আপ্তবাক্য ‘সাবধানের মার নেই’। তাই জেলা হাসপাতালগুলির জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্যদপ্তরও। জেলা হাসপাতালগুলির ১০ শতাংশ শয্যা করোনা রোগীদের জন্য রাখতে বলা হচ্ছে। পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি প্রয়োজনে যাতে টেলি মেডিসিন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারে সেদিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে।