সুব্রত বিশ্বাস: শুধু ভারতীয় মুদ্রার নগদ নয়, গার্ডেনরিচের আমির খানের কাছে ছিল ক্রিপ্টোকারেন্সির ভাণ্ডার। এবার সেই ক্রিপ্টোকারেন্সির ওয়ালেট বাজেয়াপ্ত করল কলকাতা পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হল অন্তত ১৪ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এক সংস্থার মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সির চিনা সংস্থায় বিনিয়োগ করত আমির খান। সেই সংস্থায় নোটিস পাঠিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজেয়াপ্ত করা হল।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, শুধু আমিরই নয়, এই টাকা লেনদেনে তার মাথার উপরে কেউ রয়েছে। অনেকেই এই বিনিয়োগে যুক্ত রয়েছে তা স্পষ্ট তদন্তকারীদের কাছে। কারণ, একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে বিদেশি ব্যাংকে টাকা যেমন জমা পড়েছে, তেমনই তোলাও হয়েছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে। ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই বিনিয়োগ করেছিল আমির, সেই তথ্যও পুলিশের হাতে এসেছে।
[আরও পড়ুন: CBI তদন্তের গতিতে অসন্তুষ্ট, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে তদন্তকারীদের নাম জানতে চাইতে পারেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে টাকা হাতানোর সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে পণ্য বিক্রির মাধ্যমেও লাভ করিয়ে দেওয়ার নাম করে আমির ও তার সহযোগীরা টাকা হাতিয়েছে বলে অভিযোগ। তার সহযোগীদেরও সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। কলকাতায় আমিরের ক’টি বাড়ি ও সম্পত্তি রয়েছে, সেই সম্পর্কে খোঁজ চলছে। ওই বাড়ি বা ডেরাগুলিতেও সে টাকা লুকিয়ে রেখেছে কি না, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে। তার প্রত্যেকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ধরনের প্রতারণা ছাড়াও তার বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস ও সেগুলির লেনদেন সম্পর্কে গোয়েন্দারা তথ্য জানার চেষ্টা করছেন।
সপ্তাহ দু’য়েক আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গার্ডেনরিচের সিজিআর রোডে ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধে থাকা পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে গাজিয়াবাদ থেকে লালবাজারের গোয়েন্দারা তাকে গ্রেপ্তার করেন। আমিরকে প্রাথমিক জেরার পর গোয়েন্দারা জেনেছেন যে, উদ্ধার হওয়া ১৭ কোটি টাকাও সে রেখেছিল ক্রিপটোকারেন্সিতে। বিটকয়েন ভাঙিয়েই সে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা রেখেছিল বাড়িতে। ওই টাকা পরিবহণ ব্যবসায়ে লগ্নি করার ছক ছিল বলে অভিযোগ।