সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অতি প্রবল’ সাইক্লোন তওকতের (Cyclone Tauktae) দাপটে বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। দু’দিন ধরে তাণ্ডবলীলা চালানোর পরে ঘূর্ণিঝড়টি এবার নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এদিকে উদ্ধারকার্য এখনও অব্যাহত আরব সাগরে। বুধবার সকালে ভারতীয় নৌসেনা আরব সাগরে ভাসমান ১৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এখনও জানা যায়নি কোন জলযানে ছিলেন ওই মৃত ব্যক্তিরা। সোমবার ঝড়ের দাপটে মুম্বই উপকূলের কাছে ডুবে যায় ‘পি ৩০৫’ নামের একটি বার্জ। সেখান থেকে অনেককে উদ্ধার করা হলেও এখনও নিখোঁজ অনেকেই। ওই মৃতদেহগুলি সেই বার্জের কোনও যাত্রী বা ক্রুর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
‘পি ৩০৫’ নামের ওই বার্জে ২৭৩ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেককেই উদ্ধার করা গেলেও সব মিলিয়ে ৮৯ জন এখনও নিখোঁজ। উদ্ধারকার্যের দায়িত্বে থাকা কমান্ডার এমকে ঝা জানিয়েছেন, মৃতদেহগুলি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তাই এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় মৃতদেহগুলি ওই বার্জেরই যাত্রীদের কিনা।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! মধ্যপ্রদেশের হাসপাতালে সদ্যোজাতর গোড়ালি খুবলে খেল ইঁদুর]
কেবল ‘পি ৩০৫’-ই নয়, একটি টাগ বোটও ডুবে যায় ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে। সেই বোটের দু’জনকে উদ্ধার করা হলেও এখনও ১১ জন নিখোঁজ। এছাড়াও আরও তিনটি বার্জ ও একটি তেল খননকারী জাহাজও ঝড়ের কবলে পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার রাতেই গত কয়েক দশকের মধ্যে সব থেকে বড় সাইক্লোন তওকতে গুজরাট উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে। তওকতের প্রভাবে প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়েছে। উপড়ে গিয়েছে প্রচুর গাছ। গোয়া, মহারাষ্ট্র, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এই মুহূর্তে নিম্নচাপের অক্ষরেখাটি রয়েছে দক্ষিণ রাজস্থান ও গুজরাট উপকূলে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এর প্রভাবে গুজরাটে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতেও বৃষ্টি হবে বলে জানা গিয়েছে।