সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভেনেজুয়েলার একটি অবৈধ সোনার খনিতে বড়সড় ধস। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৪ জন। এখনও খনিতে আটকে বহু মানুষ। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ।
সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মধ্য ভেনেজুয়েলার আঙ্গোস্তুরা অঞ্চলের একটি অবৈধ সোনার খনিতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বুধবার এবিষয়ে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ধস নামার সময় বুল্লা লোকা নামে খনিটিতে কাজ করছিলেন বহু মানুষ। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পাঠানো হয় হেলিকপ্টার। খনিটির পরিস্থিতি দেখে উদ্ধারকারী দলের আশঙ্কা এখনও বহু মানুষ সেখানে আটকে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১১জন আহতের খোঁজ মিলেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। ঘটনাস্থলে ভিড় করেছে শ্রমিকদের পরিবার। প্রশাসনের কাছে দ্রুত সকলকে বের করে আনার কাতর আর্জি জানাচ্ছে তারা।
[আরও পড়ুন: জীবনের প্রথম গ্রেপ্তারি, একদিন পরে অভিযুক্তের সঙ্গেই উদ্ধার পুলিশকর্মীর মৃতদেহ]
এদিনের দুর্ঘটনার পর মৃত্যুর মুখ ফিরে আসা এক শ্রমিক কার্লোস মার্কানো জানিয়েছেন, “খনির পরিস্থিতি ভয়ংকর। আমরা কেউ চাই না আমাদের একজন সহকর্মী বা একজন মানুষও এভাবে প্রাণ হারাক।” চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটচ্ছে খনিতে আটকে থাকা এক শ্রমিকের মেয়ে কারিনা রসের। দ্রুত সকলকে উদ্ধারের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনিও। কারিনার আশঙ্কা এখন যা আবহাওয়া তাতে খনির ভিতরে আটকে থাকা মৃতদেহগুলোর পচন ধরতে পারে। জানা গিয়েছে, মধ্য ভেনেজুয়েলার অনেক খনি বেআইনিভাবে পরিচালিত হয়। সেখানে কাজ করার জন্য সাধারণ মানুষদের চাকরির প্রলোভন দেখানো হয়।