অভিরূপ দাস: করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচানোর জন্য কেনা হয়েছে ভেন্টিলেটর মেশিন। কিন্তু লাগানো হয়নি। এখনও তা পরে রয়েছে মেডিক্যাল কলেজের মেঝেতে। এদিকে সরকারি কোভিড হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের অভাবে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। সেখানে দিন প্রতি ৩০/৪০ হাজার টাকা খরচের ধাক্কায় সর্বস্বান্ত হচ্ছে রোগীর পরিবার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট রয়েছে ৫৩টি, এইডিইউ বা হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট রয়েছে ৩৫টি। এপ্রিল থেকে সবকটিই ভরতি। রোজই কোভিড পজিটিভ হয়ে শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে আসছেন অগুনতি মানুষ। কিন্তু ভেন্টিলেটর খালি না থাকায় ফিরে যাচ্ছেন।
এই মুহূর্তে রোগীর যা চাপ তাতে আরও ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন। সেইমতো নতুন ভেন্টিলেটর অর্ডার দেওয়া হয়। অর্ডার দেওয়ার পর তা দ্রুত চলে আসে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। অভিযোগ, সেই ১৫টি ভেন্টিলেটার পড়ে রয়েছে কলকাতা মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশ্যালিটি বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে।মুমূর্ষু করোনা রোগীর প্রাণ বাঁচাতেই এই ১৫টি ভেন্টিলেটর আনা হয়েছিল। কিন্তু তা বসানো গেল না কেন? মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যাঁরা এই মেশিন ইনস্টল করেন তাদের একাধিকবার খবর দেওয়া হয়েছে। কোভিড হাসপাতালে এসে মেশিন ইনস্টল করতে গড়িমসি করছেন তারা। সে কারণেই অযথা দেরি হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বিয়ের জন্য পারিবারিক চাপ, সুইসাইড নোটে হতাশার কথা লিখে আত্মঘাতী জুনিয়র চিকিৎসক]
আপাতত এই মহামূল্যবান মেশিনের ঠাই হয়েছে সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকের গ্রাউন্ড ফ্লোরে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং স্বাস্থ্যভবনের উদ্যোগেই কেনা হয়েছিল এই মেশিন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাজি মেশিন ইনস্টল প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, দ্রুত ভেন্টিলেটরগুলি বসানো হবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ভেন্টিলেটরগুলি দ্রুত বসিয়ে ফেলতে পারলে অনেক রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হত। অর্ডার দিয়ে দ্রুত নিয়ে চলে আসার পরেও ভেন্টিলেটরগুলি বসাতে না পারায় হতাশ চিকিৎসকরাও।
[আরও পড়ুন: ‘বাড়িতে বাথরুম নেই, পায়খানা করতে বেরিয়েছি’, লকডাউনে বাইরে বেরনোর কারণ শুনে অবাক পুলিশ]
The post করোনাতঙ্কে কাজে আসছে না কর্মীরা, ১৫টি নতুন ভেন্টিলেটর এলেও লাগানো হয়নি মেডিক্যালে appeared first on Sangbad Pratidin.