সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোট প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ নিজের নির্বাচন ক্ষেত্র নন্দীগ্রাম থেকে কী বার্তা দিলেন মমতা?
Advertisement
- মানুষে-মানুষে ভাগাভাগি নয়। নন্দীগ্রামে ৭০-৩০ নয়। আমরাই ১০০।
- আমি কেন দাঁড়ালাম নন্দীগ্রামে? জানেন? আমি যখন আগে এখানে সভা করতে এলাম, দেখলাম, এখানে কোনও বিধায়ক নেই। পদত্যাগ করে চলে গিয়েছেন। তখন আপনাদের জিজ্ঞাসা করলাম, এখানে দাঁড়াব? আপনাদের সাড়া পেলাম। তাই দাঁড়ালাম। নয় তো ভবানীপুরেই দাঁড়াতাম। ওখানে আমাকে কিছুই করতে হত না।
- জমি আন্দোলন দিয়ে নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরকে জুড়ে দিয়েছিলাম আমি। নন্দীগ্রামের আন্দোলনের জন্য আমি বাড়ির কালীপুজোতেও যায়নি। নন্দীগ্রাম সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছে। সারা পৃথিবী এখন নন্দীগ্রামের কথা জানে।
- ১৪ মার্চ গুলি চলার পর ডাক্তারের বারণ না শুনে নন্দীগ্রামে এসেছিলাম। কোলাঘাটে আমার গাড়িতে পেট্রল বোমা মারার চেষ্টা হয়েছিল। আনিসুরকে এতদিন ধরে জেলবন্দি করে রেখেছে। আমি ওর বাইকে করে গ্রামে ঢুকেছি। চণ্ডীপুরে আমাকে গালাগালি করা হয়েছিল।
- ১০ নভেম্বর ১০ জনকে মেরে ফেলা হল, নাকি গুম করে দেওয়া হল। কেউ জানে না। সেদিনও আমরা তমলুকে ছিলাম। আমার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
- ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম।
- কর্মীরা দলের সম্পদ। যদি মনে করেন, আমার এখানে দাঁড়ানো উচিৎ নয়। আমি মনোনয়ন দেব না। চলে যাব।
- কেউ কেউ বলছেন, আমি বহিরাগত। আমি তো বাংলার মেয়ে। আমি এখানকার আন্দোলনকারী। আমাকে কী করে বহিরাগত বলে? গুজরাত থেকে, দিল্লি থেকে এখানে এসে আপনারা বাংলার লোক হয়ে গেলেন? আর আমি বহিরাগত? তাহলে তো আমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই উচিত নয়।
- আমার সঙ্গে হিন্দুকার্ড খেলতে যাবেন না। আমি হিন্দু ঘরের মেয়ে। হিন্দু ধর্ম মানুষকে ভালবাসতে শিখিয়েছে। চণ্ডীপাঠ করে নন্দীগ্রামের মঙ্গলকামনা করলাম।
- হিন্দুধর্ম আমাকে শেখাচ্ছেন? ধর্ম নিয়ে খেলবেন? খেলা হবে? কবে খেলবেন? কয়েকটা বিষয় মুখস্থ করে এলেই চলে না। টেনে টেনে মিথ্যে বলে নির্বাচনী প্রচার হয় না।
- সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল-সহ একাধিক কাজ করেছি। হলদিয়ার সঙ্গে নন্দীগ্রামকে একটা সেতু দিয়ে জুড়ে দেব। মডেল নন্দীগ্রাম তৈরি করব। এখানে কোনও বেকার থাকবে না। দলের ইস্তেহারে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কথা থাকবে। শিব চতুর্দশীর দিন আমাদের ইস্তেহার প্রকাশ করব।
- এক বছরের জন্য নন্দীগ্রামে দুটো ঘরের একটা বাড়ি ভাড়া নিয়েছি। তিন মাস পরপরই এখানে আসব।
- ভোটের বাক্সে ওদের এপ্রিল ফুল করে দিন। টাকা নিয়ে নিন, কিন্তু ভোট দেবেন না। ভয় দেখালে ভয় পাবেন না।
- অনেকে হুমকি দিচ্ছে। ঘরছাড়া করব বলছেন। দেখব ২ মে’র পর এই গলার জোর কোথায় থাকে!
- সিপিএমের বহু অত্যাচারী আবার ফিরে এসেছে। ওরা ওদের নিয়ে এসেছে। যারা ফেস করতে পারে না তারা কেসের কথা বলে।