সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘকে পুড়িয়ে মারল জনতা। ওই ঘটনায় ১৫০ জনের অভিযোগ দায়ের করেছে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। গত মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় জোর তদন্ত শুরু করেছে বনবিভাগ ও পুলিশ। তবে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধেও।
জানা গিয়েছে, দু’দিন আগে উত্তরাখণ্ডের পাউরি গাড়োয়াল জেলায় একটি চিতাবাঘকে পুড়িয়ে মারে জনতা। বনদপ্তর সূত্রে খবর, ১৫ মে নাগদেব ফরেস্ট রেঞ্জের সাপলোরি গ্রামে চিতাবাঘের হতে প্রাণ যায় বছর সাতচল্লিশের এক মহিলার। এটিই সম্ভবত সেই প্রাণীটি। তাই প্রতিশোধ নিতেই লেপার্ডটিকে পুড়িয়ে মেরেছে জনতা। এই বিষয়ে পাউরির ডিবিশিনাল ফরেস্ট অফিসের মুকেশ কুমার বলেন, “চারটি গ্রামের প্রায় ১৫০ জন বাসিন্দার বিরূদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় জানা যায়নি। কীভাবে এই অপরাধ সংগঠিত হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ১০০ বছরের পুরনো মসজিদ সার্ভে করুক ASI, সুপ্রিম কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা]
এদিকে, বনবিভাগ ও পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। এই বিষয়ে অভিযুক্ত সাপলোরি গ্রামের প্রধান অনিল রাওয়াতের বক্তব্য, নিয়মমতো এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি। ফলে চিতাবাঘটির খাঁচার চারপাশে কয়েকশো মানুষের ভিড় জমে যায়। বলে রাখা ভাল, ‘ন্যাশনাল টাইগার কনজার্ভেশন অথরিটি’র নির্দেশিকা স্পষ্ট বলছে, কোনও লোকালয়ে মাংসাশী বন্যজন্তু প্রবেশ করলে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়।
সাপলোরি গ্রামের প্রধান অনিল রাওয়াত জানান, চিতাবাঘটিকে ধরতে গ্রামের দু’টি জায়গায় খাঁচা পাতে বনদপ্তর। মঙ্গলবার সকালে একটি খাঁচায় আটকে পড়ে প্রাণীটি। তার আধঘণ্টার মধ্যে সেখানে হাজির হন বনবিভাগের কর্মীরা। ততক্ষণে সেখানে ভিড় জমে যায়। অনেকেই জানতে চান ভবিষ্যতে চিতাবাঘের হামলা ঠেকাতে কী পদক্ষেপ করতে চলেছে বনবিভাগ। শুধু তাই নয়, ডিএফও বা ফরেস্ট রেঞ্জার পদের কোনও আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনারে দাবি জানায় জনতা। কয়েক ঘণ্টা পরে যখন ঘটনাস্থলে বনবিভাগের শীর্ষ আধিকারিকরা পৌছন, ততক্ষণে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। উত্তেজিত জনতা চিতাবাঘের খাঁচায় আগুন ধরিয়ে দেয়।