সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছুটি। কর্মব্যস্ত একঘেয়ে জীবনে অনেকটা দমকা হাওয়ার মতো। ছুটির কথা শুনলেই এক নিমেষে সমস্ত ক্লান্তি কোথায় যেন উধাও হয়ে যায়। দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততা থেকে মুক্তির আনন্দে মন নেচে ওঠে। কর্মস্থল থেকে সপ্তাহে একদিন ছুটি পাওয়া যায় ঠিকই। কিন্তু, তাতে কী আর মন ভরে! প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াও বাড়তি ছুটি নেন সকলেই। কিন্তু, জানেন কী, এমন মানুষও আছেন, বিগত ১৬ বছরে সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া একটিও অতিরিক্ত ছুটি নেননি। শুনতে অবাক লাগলেও, এমনই বিরল নজির তৈরি করেছেন পুনের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র শর্মা।
[মার্কিন মুলুকে যেতে ‘ভিসা গড’-এর শরণাপন্ন ভারতীয়রা!]
[স্কুল চত্বরে মাটি খুঁড়তে উঠে এল কবর দেওয়ার সরঞ্জাম, চাঞ্চল্য তামিলনাড়ুতে]
বিকেলে কলেজ ছুটির পর আবার নিজের চেম্বারে রোগীও দেখেন ধর্মেন্দ্র শর্মা। কলেজ ও চেম্বারে সেরে বাড়ি ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়। বাড়ির লোক কখনও তাঁর এই কর্মব্যস্ত জীবন নিয়ে আপত্তি করেননি? ধর্মেন্দ্র প্রসাদ বলেন, ‘পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমাকে যে কাজ করে যেতে হবে, সেটা আমার স্ত্রী বোঝে। তাছাড়া রবিবার বা অন্যন্য ছুটির দিনগুলিতে যথেষ্ট সময় থাকে। আমি আমার সহকর্মী ও ছাত্রদেরও সবসময় বলি, ছুটিটা অধিকার নয়, একটা বাড়তি সুবিধা মাত্র। তাই কখনও এই সুবিধার অপব্যবহার করা উচিত নয়।’
[মন্ত্রী হওয়ার বাসনায় ৫০ লক্ষ টাকার পুজো বিধায়কের, তারপর…]
কাজ নিয়েই থাকতে ভালবাসেন। তাই বিগত ১৬ বছরে সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া অতিরিক্ত ছুটি নেননি। এরজন্য যেমন ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ শুনতে হয়েছে, তেমনি প্রশংসাও কুড়িয়েছেন ধর্মেন্দ্র শর্মা। তিনি বলেন, ‘অনেকে আছে, যাঁরা আমাকে তাঁদের অনুপ্রেরণা বলে মনে করে। আবার অনেকে আমাকে বিদ্রুপও করে। কেউ কেউ জিজ্ঞেস করে, আমি কোনও ট্রফির আশায় এসব করছি কিনা? আবার কেউ বলে, ছুটি না নিয়ে আমি জীবনটাকে উপভোগ করা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করছি।’
The post জানেন, কেন ১৬ বছরে একদিনও অতিরিক্ত ছুটি নেননি চিকিৎসক? appeared first on Sangbad Pratidin.