shono
Advertisement

Breaking News

Chief Justice Surya Kant

অবসরের আগে ছক্কা মারার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বিচারবিভাগে! তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য দেশের প্রধান বিচারপতির

এই প্রবণতাকে 'দুর্ভাগ্যজনক' বলেও আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
Published By: Saurav NandiPosted: 03:45 PM Dec 18, 2025Updated: 04:11 PM Dec 18, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবসরের আগে ঝোড়ো ব্যাটিং! ছক্কা মারার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বিচারকদের মধ্যে। সেই কারণেই কর্মজীবনের শেষবেলায় তাঁরা একের পর এক মামলার রায় দিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত। এই প্রবণতাকে 'দুর্ভাগ্যজনক' বলেও আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এই বেঞ্চের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীও, যিনি সম্প্রতিই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে শীর্ষ আদালতে গিয়েছেন।

Advertisement

দু'টি মামলার রায় নিয়ে বিতর্কের জেরে অবসরের মাত্র ১০ দিনে আগে সাসপেন্ড হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের এক জেলা জজ। এই সাসপেনশনের বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। ওই মামলার শুনানিতেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, "অবসরের আগেই ছয় মারতে শুরু করেছিলেন মামলাকারী। এটান দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা। তবে আমরা এটা নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।"

মামলাকারী জেলা জজের অবসর নেওয়ার কথা ছিল গত ৩০ নভেম্বর। কিন্তু গত ১৯ নভেম্বরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। এ দিকে, ২০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট মধ্যপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিয়ে বলেছিল মামলাকারীর অবসর আরও এক বছর পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। কারণ, রাজ্য সরকারই অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৬২ বছর করেছে। এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, "মামলাকারী জানতেন না যে, তাঁর অবসর আরও এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তা না জেনেই উনি দু'টি মামলার রায় দিয়েছিলেন। অবসরের আগে এ ভাবে রায় দেওয়া প্রবণতা হয়ে গিয়েছে বিচারবিভাগে।"

সাসপেনশনকে চ্যালেঞ্জ করে জেলা জজ কেন প্রথমে হাইকোর্টে না গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এই সূত্রের মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলাকারীকে বলা হয়েছে হাইকোর্টে আবেদন করার জন্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • অবসরের আগে ঝোড়ো ব্যাটিং! ছক্কা মারার চেষ্টা করেন বিচারকেরা।
  • সেই কারণেই কর্মজীবনের শেষবেলায় তাঁরা একের পর এক মামলার রায় দিয়ে দেন।
  • সাম্প্রতিক কালে বিচারবিভাগে এমনই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত।
Advertisement