সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ সীমান্তে কিছুটা কেটেছে যুদ্ধের মেঘ। তবে লালফৌজের আগ্রাসনে দুই দেশের সম্পর্কে যে ফাটল ধরেছে, তা মেরামত করা সহজ নয়। এহেন পরিস্থিতিতে রবিবার সামরিক স্তরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ভারত ও চিনের মধ্যে। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে সেনা কমান্ডারদের মধ্যে চলা বৈঠকে বিতর্কিত এলাকাগুলি থেকে ফৌজ সরাতে চিনকে চাপ দিয়েছে ভারত বলে খবর।
রবিবার লাদাখ সীমান্তের চুশুল-মলডো বর্ডার পয়েন্টে ভারতের দিকে আলোচনায় বসে দুই পক্ষ। এর আগে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ১৫ দফা আলোচনা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সীমান্ত বিবাদ মেটাতে সেই অর্থে বড় কোনও সাফল্য মেলেনি। এদিন এহেন পরিস্থিতিতে এবারের বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে, পূর্ব লাদাখে (Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষের কেন্দ্রগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার ও শান্তি বজায় রাখা। লালফৌজের সঙ্গে আলোচনায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’ কোর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ সেনগুপ্ত। সূত্রের খবর, এবারের বৈঠকে পূর্ব লাদাখে হট স্প্রিং থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে চাপ দিয়েছে ভারত। বিশেষ করে, সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু পেট্রোল পয়েন্ট ১৫ থেকে লালফৌজকে পিছু হঠতে বলেছে নয়াদিল্লি।
[আরও পড়ুন: অবশেষে পিছু হটছে ‘ড্রাগন’, পূর্ব লাদাখের তিন এলাকা থেকে সরল চিনা সেনা]
বলে রাখা ভাল, ২০২০ সালের মে মাস, অর্থাৎ গালওয়ান সংঘর্ষের (Galwan clash) সময় থেকেই হট স্প্রিংয়ের পেট্রোল পয়েন্ট ১৫ থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে দুই দেশের প্রায় শ’খানেক সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর আগে একাধিক আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একাধিক ফ্ল্যাশপয়েন্টগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে দুই দেশ। সমঝোতা মোতাবেক অস্থায়ী পরিকাঠামো সরিয়েছে দুই সেনাই। কিন্তু হট স্প্রিং, গোগরা ও দেপসাং সমতলে সমস্যা এখনও মেটেনি। তবে ২০২১ সালের জুলাই মাসে কোর কমান্ডার বৈঠকের মাধ্যমে গোগরায় সংঘর্ষের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু পেট্রোল পয়েন্ট ১৭-এ সমস্যা মিটে যায়।
এদিকে, দেপসাং এলাকায় ২০১৩ সাল থেকেই আগ্রাসী চিন (China)। সেখানে ভারতকে টহলদারি করতে দিচ্ছে না লালফৌজ। ডেমচকে ঘাঁটি গেড়েছে তারা। তবে দেপসাং ইস্যু নিয়ে সমঝোতা বেশ কঠিন কাজ বলেই মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। তাই আপাতত গোগরা-হট স্প্রিং এলাকা থেকে চিনা সেনা প্রত্যাহারের দাবিতেই জোর দিয়েছে ভারত।