সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। একদিকে ঝলমল শহর, পাঁচতারা হোটেল, আদানি-আম্বানি, আত্মনির্ভর ভারত, অন্যদিকে বেকার, গরিব, অপুষ্টিতে ভোগা অসহায় দেশ। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একটি জেলা হাসপাতালের মর্মান্তিক সংবাদ। সেখানে তিন মাসে মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জন শিশুর। যার পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। মুখ পুড়েছে সেখানকার গেরুয়া সরকারের। প্রশ্ন হল, তিন মাসে প্রায় শ’দুয়েক শিশুর মৃত্যুর কারণ কী?
ঘটনাটি নন্দুরবার জেলা হাসপাতালের। জানা গিয়েছে মৃত শিশুদের সত্তর শতাংশের বয়স ০ থেকে ২৮ দিন। জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তা এম সাওয়ান কুমারের দাবি, সদ্যোজাতর ওজন, জন্মগত শ্বাসযন্ত্রের অসুখ শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ। উল্লেখ্য, এলাকার বাসিন্দাদের অধিকাংশই আদিবাসী। গোটা রাজ্যের মধ্যে এখানেই অপুষ্টির হার সবচেয়ে বেশি। শিশুমৃত্যুর হার বেশি হওয়ার কারণ একাধিক বলে মনে করা হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে সদ্যোজাতর ওজন, জন্মগত শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, সাপের কামড়, নিউমোনিয়া এবং দুর্ঘটনা। তথাপি জেলা হাসপাতালে তিন মাসে ১৭৯ জন শিশুর মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা খোদ ছত্তিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রীর, আশঙ্কায় কাঁপছে কংগ্রেস]
নন্দুরবারের স্বাস্থ্য অধিকর্তা দাবি করেছেন, কুড়ি শতাংশ শিশুর মৃত্যুর কারণ দেরিতে চিকিৎসা শুরু হওয়া। এছাড়াও বাড়িতে প্রসব, চিকিৎসা না করার প্রবণতাও রয়েছে। নন্দুরবার জেলা হাসপাতালে জুলাইয়ে ৭৫ শিশু, আগস্ট মৃত্যু হয়েছে ৮৬ শিশুর। চলতি সেপ্টেম্বরে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮ জন শিশুর। রাজ্যজুড়ে বিতর্কের মাঝে স্থানীয় বিধায়ক আমশা পাডভি অভিযোগ করেছেন, তাঁর এলাকায় উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবেই বিপন্ন মা ও সদ্যোজাতরা। তিনি বলেন, “সরকার হাজারও প্রকল্পের কথা বলে, কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা আদৌ কি ওই প্রকল্পগুলির সুবিধা পায়?”