shono
Advertisement

ঝাড়গ্রামে যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত সহ-২, বাকিদের খোঁজে জারি তল্লাশি

মঙ্গলবার গুলি করে খুন করা হয় ঝাড়গ্রামের এক যুবককে।
Posted: 07:11 PM Dec 10, 2020Updated: 07:11 PM Dec 10, 2020

সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: ৭২ ঘণ্টা পেরনোর আগেই ঝাড়গ্রামে যুবক খুনে অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করল জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে গোপীবল্লভপুর থানার হাতিবাড়ি থেকে মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ প্রধান এবং ঝাড়গ্রাম থানার মানিকপাড়া থেকে অপর অভিযুক্ত শুভঙ্কর সাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃত দু’জনকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক ৮ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। এদিন বাছুরডোবা এলাকায় একটি টুর্নামেন্ট হচ্ছিল। নিরাপত্তার কারণে সেখানে পুলিশও ছিল। খেলা দেখতে গিয়েছিলেন রাধানগরের বাসিন্দা শেখ তদবীর আলি। অভিযোগ, খেলা চলাকালীন এদিন হঠাৎই বাছুরডোবা এলাকার বাসিন্দা এনভিএফ কর্মী বিশ্বজিৎ প্রধান শেখ তদবীরকে তাড়া করে। তাঁকে লক্ষ্য করে দুটো গুলি ছোঁড়ে। একটি গুলি লাগে তদবীরের মাথায়। অপরটি মাথার পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। অভিযোগ, এরপর ভোজালি দিয়ে এলোপাথাড়ি তদবীরকে কোপায় বিশ্বজিৎ। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এরপর কলকাতায় স্থানান্তরিত করার সময় পথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তদবীর। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা। অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ। বুধবার সকাল থেকে ফের অভিযুক্তের গ্রেপ্তারির দাবিতে পথে নামেন স্থানীয়রা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির পাশাপাশি পুলিশ সুপারের অপসারণের দাবিও তোলেন উত্তেজিত জনতা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির আশ্বাস দেয় পুলিশ।

ছবি: প্রতীম মৈত্র

[আরও পড়ুন:জেপি নাড্ডার সভার আগেই আক্রান্ত ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি সভাপতি, অভিযুক্ত তৃণমূল]

এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে গোপন সূত্র মারফত পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ প্রধান এবং তার গাড়ির চালক শুভঙ্কর সাউকে গ্রেপ্তার করে। এই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর বলেন, “খুনের ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত চলছে।” কিন্তু ঠিক কী কারণে এই খুন? সেবিষয়টি এখনও ধোঁয়াশা।

[আরও পড়ুন:‘স্রেফ মা দুর্গার কৃপায় সভায় পৌঁছতে পেরেছি’, হামলা নিয়ে তৃণমূলকে দুষলেন নাড্ডা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার