কৃষ্ণকুমার দাস: ফের প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলল কলকাতায় (Kolkata)। কলকাতা পুরসভায় (KMC) চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩৫ জনকে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে ৭০ লক্ষ টাকা তুলেছে তারা। তবে শেষরহক্ষা হল না। পুরকর্মী ও পুলিশের তৎপরতায় শ্রীঘরে দুই প্রতারক। তবে তাদের পিছনে একটা বিশাল প্রতারণা চক্র কাজ করছে বলে মনে করছে পুলিশ।
সোমবার ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কলকাতা পুরসভায় চাকরিতে যোগ দিতে আসেন বেশ কয়েকজন । সেই সূত্রে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হল প্রতারণা চক্রের দুই চাঁই। ধৃত দুজনের নাম অমিতাভ বসু ও দিব্যেন্দু বর্মণ। এখনও পর্যন্ত কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। এদিনই ধৃতদের পুরসভা কর্তৃপক্ষ নিউ মার্কেট থানার হাতে তুলে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: মাদলের তালে নাচ মুখ্যমন্ত্রীর, বাজালেন ধামসাও, বিশ্ব আদিবাসী দিবসে ভিন্ন রূপে Mamata]
পুরসভা এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন কলকাতা পুরসভা আসে। তবে যারা চাকরি পাবেন বলে টাকা দিয়েছিলেন, তাঁরা আগেভাগেই পুরসভায় চলে এসেছিলেন। তাঁদের হাতে থাকা লেটার হেডগুলি দেখে সন্দেহ হয় পুরসভায় কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের। পুরসভার আধিকারিকরা সেই কাগজ খতিয়ে দেখে বুঝতে পারেন নথিগুলি জাল। এরপরই প্রতারকদের মধ্যে একজন পুরসভায় আসে। চাকরিপ্রার্থীদের ফোন করেও তাদের খুঁজে না পেয়ে সন্দেহ হয় তার।
অভিযুক্ত পুরসভায় ঢুকতেই তাকে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ধরে ফেলে। তাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে জেরা শুরু হয়। চাপের মুখে অভিযুক্ত নিজের দোষ স্বীকার করে। তারপর সে জানায়, পুরসভার কর্মীবর্গ বিভাগ এবং অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের আধিকারিকরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। সে ওই আধিকারিকদের ছবি নিজের মোবাইলে দেখায়। এরপর পুলিশ অভিযুক্তকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে যায় এবং তার মোবাইলে থাকা ছবিগুলো ওই বিভাগের আধিকারিকদের দেখায়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিতে ওই কর্মীরা কাজ করেন না বলেই জানা যায়। এরপরই অভিযুক্ত জানায় তারই এক সহকর্মী গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। পুলিশ সেখানেও যায়। পুলিশ দেখেই ওই অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পরে আটক হওয়া অভিযুক্তকে ঢাল করেই দ্বিতীয় জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।