সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌন হেনস্তার অভিযোগে ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে গ্রেপ্তারির দাবিতে জন্তর মন্তরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে পদকজয়ী কুস্তিগিররা। জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের (WFI) সভাপতির বিরুদ্ধে জোড়া এফআইআর দায়ের হলেও এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপই করেনি পুলিশ প্রশাসন। এবার জানা গেল, অভিযোগপত্রে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন দুই অ্যাথলিট।
মহিলা কুস্তিগিররা জানিয়েছেন, ওয়ার্ম-আপ কিংবা প্রতিযোগিতার সময় মেডিক্যাল পরীক্ষার নামে অশালীন ভাবে তাঁদের স্তনে হাত দিয়েছেন ব্রিজভূষণ (Brij Bhushan Sharan Singh)। শুধু তাই নয়, তাঁদের পেটও স্পর্শ করা হয়েছে। ফেডারেশনের অফিসেও অ্যাথলিটদের সঙ্গে একই অভব্য আচরণ করেছিলেন ব্রিজভূষণ বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের ট্রেনে নিরাপত্তারক্ষীর দেখা নেই, চোরকে চাদরে বেঁধে শিয়ালদহে আনল যাত্রীরা!]
লাগাতার আন্দোলন সত্ত্বেও প্রথমে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে রাজি হয়নি দিল্লি পুলিশ। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দায়ের হয় দু’টি এফআইআর। একটি পকসো আইনে নাবালিকার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এবং অন্যটি মহিলা কুস্তিগিরদের সঙ্গে অশালীন আচরণের। তাঁর বিরুদ্ধে যে সাতজন যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনেন, তাঁদেরই দু’জন এই বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন। জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতা এবং অফিস ছাড়া রেস্তরাঁতেও তাঁদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন ব্রিজভূষণ। যদিও ওই দুই মহিলা কুস্তিগিরের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
তবে প্রথম থেকেই এই ইস্যুতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে চলেছেন ব্রিজভূষণ। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পালটা দিতে গিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমি কি শিলাজিৎ (লিঙ্গবর্ধক ওষুধ) দিয়ে রুটি খাই?” গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত নীরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যা নিয়ে তীব্র হচ্ছে বিতর্ক। তবে দুই অ্যাথলিটের এই বিস্ফোরক তথ্য ফাঁসের পর প্রশাসন আদৌ কোনও পদক্ষেপ করে কি না, সেটাই এখন দেখার।