সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাঁটি সোনার ইট পাওয়ার লোভে ৪০ কোটি মূল্যের কালো টাকা সাদা বানানোর প্রস্তাব লুফে নিয়েছিলেন এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের দুই ম্যানেজার৷ সেই সঙ্গে শর্ত রেখেছিলেন ওই বাতিল নোটের ১৫ শতাংশ তুলে দিতে হবে তাঁদের হাতে৷ শুনে হাতে চাঁদ পেয়েছিল দুই কালোবাজারি৷ কিছু টাকার বিনিময়ে যদি ওই বিশাল অঙ্কের কালো টাকা বৈধ করা সম্ভব হয়, তবে আর কী চাই!
দুই ম্যানেজারের সমস্ত শর্তে রাজি হয়ে গিয়েছিল তারা৷ কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না৷ আয়কর বিভাগ এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের শ্যেন দৃষ্টিতে ধরা পড়ে এই বেআইনি লেনদেন৷ গ্রেফতার করা হয় দুই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে৷ দায়ের করা হয় অর্থ তছরুপ মামলা৷ আজই তিশ হাজারি আদালতেও তোলা হয় ওই দুই ম্যানেজারকে৷ পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নেয় ইডির তদন্তকারী দল৷ সোমবার সকালেই নয়াদিল্লিতে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের কাশ্মীর গেট শাখা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই দুই ম্যানেজারকে৷
এর আগে সাড়ে তিন কোটি টাকা-সহ গ্রেফতার করা হয় আরও তিনজনকে৷ গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের নাম শশাঙ্ক সিনহা এবং বিনীত গুপ্তা৷ ইডি জানিয়েছে, কালো টাকা সাদা করার জন্য কালোবাজারি দুই ব্যক্তিকে সোনা কিনতে সাহায্য করেন ওই দুই ম্যানেজার৷ তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আরটিজিএস পেমেন্ট প্রক্রিয়ায় পাঠানো হয় জুয়েলারি সংস্থাকে৷ সোনার দামের থেকে অনেক বেশি দামে, তোলা প্রতি ৪৫ হাজার টাকা হিসাবে সোনা বিক্রি করে জুয়েলারি সংস্থা৷ সোনার ইটের একটি রিসিট আয়কর বিভাগের হাতে আসায় বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে তারা৷ সোমবার লখনউ থেকে একটি সোনার ইট উদ্ধার হয়৷