নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: হিমাচল-কর্ণাটকে হার এবং বিরোধী শিবিরের ঐক্য বিজেপিকে বেশ ভালমতোই নাড়িয়ে দিয়েছে। সম্ভবত সেকারণেই তড়িঘড়ি মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা (Amit Shah)। আসলে সামনেই চারটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচনেরও বেশিদিন বাকি নেই। বিজেপি চাইছে না কর্ণাটকের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি আর কোথাও হোক। সেকারণেই তড়িগড়ি দল এবং মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল করতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে সে সম্ভাবনা দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। মনে করা হচ্ছিল, ভোটমুখী চার রাজ্যের নেতাদের মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব দেওয়া হবে। আবার সংগঠনেও জাতিগত সমীকরণের কথা মাথায় রেখে রদবদলের কথা ভাবা হচ্ছিল। আগামী ৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় চেয়েছেন। তাতেই মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের আগেই বন্দুকবাজের হানা আমেরিকায়, মৃত অন্তত ৪, আহত বহু]
শোনা যাচ্ছে, মোদির মন্ত্রিসভায় আমূল বদল আসছে। সদ্য এনসিপিতে ভাঙন ধরানোর পুরস্কার হিসাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন প্রফুল প্যাটেল। বিহার থেকে উপেন্দ্র কুশওয়াহ, চিরাগ পাসওয়ানদেরও আনা হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। আসলে বিজেপি মহারাষ্ট্রের মতো বিহারেও বাড়তি নজর দিতে চাইছে। মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব পেতে পারেন ভোটমুখী চার রাজ্যের নেতারা। আবার ধর্মেন্দ্র প্রধান, ভুপেন্দ্র যাদব, পীযুষ গোয়েলদের মতো মন্ত্রীদের মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে সংগঠনে আনা হতে পারে। বিজেপি (BJP) এই তিনজনের কাজে সন্তুষ্ট, এরা প্রধানমন্ত্রীর পছন্দেরও, কিন্তু লোকসভার আগে এই নেতাদের কর্মদক্ষতাকে সংগঠনে কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: ইডির জিজ্ঞাসাবাদের ধাক্কা সামলে ফের ‘সক্রিয়’ সায়নী ঘোষ, আজ কাটোয়ায় প্রচার]
এছাড়া বিজেপি মোট পাঁচ রাজ্যের রাজ্য সভাপতিও বদলাতে পারে। পাঞ্জাব প্রদেশ বিজেপির সভাপতি হতে পারেন কংগ্রেস থেকে আসা সুনীল জাখর, বদলাতে পারে কেরল, তেলেঙ্গানার রাজ্য সভাপতিও। কর্ণাটকে বিশ্রী হারের পর সেরাজ্যের রাজ্য সভাপতি পদেও বদল আসতে পারে।