সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অর্থোপেডিকের দুই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি(পিজিটি)কে র্যাগিংয়ের ঘটনায় আগেই অভিযুক্ত করা হয়েছিল। সোমবার মেডিক্যাল কলেজের তরফে শাস্তি ঘোষণা করা হল। ওই দুই ছাত্র আগামী দুমাস কলেজে ক্লাস করতে পারবেন না। আউটডোরে রোগী দেখতে পারবেন না। দুমাসের সব ছুটি বাতিল করা হল। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স শেষ হওয়ার পর দুই মাস পূর্ণ করলে তবেই সার্টিফিকেট পাবে। মেডিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষ ডা.ইন্দ্রনীল বিশ্বাস সোমবার জানিয়েছেন,”ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের গাইডলাইন মেনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কলেজের সিদ্ধান্ত রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা.অঞ্জন অধিকারীর নেতৃত্বে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠিত হয়। গত শুক্রবার আঠারো পাতার তদন্ত রিপোর্টে দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্র যে পিজিটি’র প্রথম বর্ষের দুই ছাত্রকে র্যাগিং করেছিল তা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। অন্তত এমনটাই দাবি মেডিক্যাল কলেজ কতৃর্পক্ষের। সেই সময়ই জানা গিয়েছিল বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি চাইছে মেডিক্যাল কলেজ কতৃর্পক্ষ।
[আরও পড়ুন: ১৩ লক্ষ নতুন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ৯ লক্ষ বার্ধক্য ভাতা, পূর্ব বর্ধমানে বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
মেডিক্যাল কলেজের তরফে এদিন দফায়-দফায় আলোচনা হয়। তার পরই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয় দুই পড়ুয়াকে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট অর্থোপেডিকের দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্রকে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের কথাবার্তা ও আচরণ পরিশিলীত করার উদ্যোগ নিয়েছে কলেজ। সাইকিয়াট্রির বিভাগীয় প্রধানের কাছে তাঁদের কাউন্সেলিং হবে। কলেজের এক আধিকারিকের কথায়, এই দু’মাস তাঁরা অর্থোপেডিক বিভাগে যোগাযোগ রাখতে পারবেনা। আউটডোর-ইন্ডোরে রোগী দেখা বন্ধ করা হল। তাঁদের কাজ, রোজ নিয়ম করে রোগীদের খাবার, ওষুধ এবং হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা দেখভাল করা। কাজের রির্পোট দিতে হবে উপাধ্যক্ষকে। এক অধ্যাপক বলেন,‘‘দুই ছাত্র অত্যন্ত মেধাবী। ভাল চিকিৎসক হিসাবে চিহ্নিত। কিন্তু আচরণ অনভিপ্রেত। তা না হলে জুনিয়রকে থুতু দেওয়ার মতো ঘটনা চিহ্নিত হয় কী করে? তাই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হল।’’
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের তরফে এদিন যাবতীয় পদক্ষেপ স্বাস্থ্য-শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ৭৫শতাংশ উপস্থিতি থাকে তবে দুই ছাত্র নিয়ম পরীক্ষায় বসতে পারবে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পাস করার পর এই দু’মাস ক্লাস করতে হবে। তবেই সার্টিফিকেট পাবেন। এদিনই মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী দিনে এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসলে সংশ্লিষ্ট ফ্যাকাল্টির প্রধান অধ্যাপক-সহ অন্যান্যরা ও শাস্তির কোপে পড়বেন। কারন শুরুতেই র্যাগিং বন্ধ করলে এমন অনভিপ্রেত ঘটনা হত না।