shono
Advertisement

খড়দহ-টিটাগড়ের পর দমদম, ফের জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ২ শিশুর

মঙ্গলবার বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
Posted: 09:03 PM Sep 22, 2021Updated: 09:03 PM Sep 22, 2021

কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: খেলতে খেলতে লাইট পোস্টে হাত দিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেল দুই বালিকা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দমদমের (DumDum) বান্ধবনগরে। শ্রেয়া বনিক (১২) এবং অনুষ্কা নন্দী (১৩) এই দু’জন মৃত। শ্রেয়ার বাড়ি ওই পাড়াতেই। অনুষ্কার বাড়ি ঝিলপাড়া এলাকায়। এই দু’জনকে আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই টিটাগড় ও খড়দহে জমা জলে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে।

Advertisement

প্রবল বৃষ্টির পর এখনও জল জমে রয়েছে বহু এলাকায়। দমদমের বান্ধবনগরের বহু অংশ এখনও জলের নিচে। রাস্তার উপর অপেক্ষাকৃত শুকনো জায়গায় খেলছিল দু’জন। লাইট পোস্টটি রাস্তার পাশের মাঠে পোঁতা। সেটির খানিকটা জলের নিচে ডোবা ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খেলতে খেলতে তাতেই হাত দেয় দুই শিশু। এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচৈতন্য হয়ে পরে। বান্ধবনগর দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তগর্ত। সেখানকার কো অর্ডিনেটর সুরজিৎ রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, “দু’জনকে আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” পরে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে দু’জনেরই। দুই শিশুর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া। দু’টি পরিবারই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: করোনা আবহে রাজ্যে থাবা ডেঙ্গুর, প্রাণ গেল কলকাতার যুবকের]

 
অন্যদিকে, দমদমের বহু এলাকা জলে থই থই ছিল বুধবারও। এদিন দমদম পার্ক এলাকা পরিদর্শনে যান দমকল মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু। দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দমদম পার্কের পাশে ক্যান্টনমেন্ট খাল, বাগজোলা খালের জল ব্যাক-ফ্লো করছে। দক্ষিণ দমদমের মুখ্য প্রশাসক পাচু রায় জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার খাল বরাবর বালির বস্তা দিয়ে উঁচু করে দেওয়া হবে। যাতে খালের জল রাস্তায় প্রবেশ করতে না পারে। পুরসভা সূত্রে খবর, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড–সহ বিভিন্ন এলাকায় এখনও পর্যন্ত প্রায় হাঁটু জল। সবকটি পাম্প চালিয়েও নাব্যতা কম থাকার কারণে খালের জল ফেরত আসছে। পুরসভা জানিয়েছে, আর বৃষ্টি না হলে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দক্ষিণ দমদমের সমস্ত ওয়ার্ডের জল নেমে যাবে।

এর পাশাপাশি নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা সরনীর বেশ কয়েকটি জায়াগায় রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। নিউটাউনের বক্স ব্রিজ, প্রাইড হোটেল, নিউটাউন বাস স্ট্যান্ড, সিটি সেন্টার ২ এবং চিনার পার্ক সংলগ্ন এলাকার রাস্তার অনেকটা অংশ ভেঙে গিয়েছে। ডিরোজিও কলেজের পিছনের তিনটি রাস্তা, আকাঙ্খা মোড় সংলগ্ন দুটি রাস্তার অবস্থাও বেহাল। বৃষ্টির কারনে এখনও আর্টস একর থেকে ডাউন টাউন মল পর্যন্ত রাস্তা জলে ডুবে আছে। বাগজোলা খালের উপর সাপুরজি ব্রিজের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তের আড়াই কিমি রাস্তাতেও এখনও হাঁটুজল জমে আছে। চিনার পার্কে এদিনও জল জমে আছে বলে অভিযোগ। পুজোর আগে রাস্তাগুলো আবার সারিয়ে ফেলা হবে বলে এনকেডিএ সূত্রে খবর।

[আরও পড়ুন: মায়ের ইচ্ছেতেই প্রথমবার ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন, প্রচারসভায় জানালেন মমতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement