সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সেতু দুর্ঘটনা নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহর রাজ্য গুজরাটে (Gujarat)। আবার ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতু। যার জেরে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের তলায় আরও কয়েকজন চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা। সব মিলিয়ে নতুন করে চাপ বাড়ল বিজেপি শাসিত গুজরাট সরকারের উপর।
এবার ঘটনাস্থল পালনপুর। সোমবার উত্তর গুজরাটের বনসকাঁটা জেলার ওই শহরে একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ে। বনসকাঁটার জেলাশাসক বরুণকুমার বারণওয়াল মঙ্গলবার বলেন, “দুপুর তিনটে নাগাদ পালনপুর থানার অদূরে ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়কের আরটিও-র পাশে রেললাইনের উপর নির্মীয়মাণ সেতুর একটি খুঁটি এবং ছ’টি কংক্রিটের গার্ডার ভেঙে পড়ে।” তিনি জানান, দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে কেউ চাপা পড়ে রয়েছেন কি না, তার খোঁজ চলছে। সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ওই দুর্ঘটনার একটি ভিডিও। তাতে দেখা দেখা যাচ্ছে, সেতু ভেঙে চালক ও আরোহী-সহ একটি অটোরিকশা এবং একটি ট্রাক্টর চাপা পড়ছে। পুলিশ জানিয়েছে, অটো রিকশাটি সেতুর নিচে দাঁড় করানো ছিল। তাতে বসেছিলেন একজন। একটি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত দু’জনের একজন অজয় শ্রীমালি (৩০), অন্যজন ময়ূর পারমার (২০)।
[আরও পড়ুন: ‘জাতি-ধর্মের নামে যারা দেশভাগ করতে চায়, তারাও পুড়ে যাক’, দশেরায় হুঙ্কার মোদির]
ভেঙে পড়া সেতুর নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি বা দুর্নীতি ছিল কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। ঘটনাচক্রে রাস্তা এবং ভবন বিভাগের দায়িত্ব খোদ মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের হাতেই। তিনি তড়িঘড়ি সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের দল পাঠিয়েছেন পালনপুরে। প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের মোরবিতে সদ্যনির্মিত একটি ‘ফুট ব্রিজ’ ভেঙে পড়েছিল। খোলার চার দিনের মাথায় ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর মাচ্ছু নদীর উপর তৈরি সেতুটি ভেঙে পড়ে। মারা যান ১৩৫ জন। দুর্ঘটনার সময় সেতুর উপর ছিলেন ৩০০ জন।
[আরও পড়ুন: ক্যারি ব্যাগের দাম ২০ টাকা! নামী সংস্থাকে ৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ আদালতের]
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ভার রাখতে পারেনি বলে পুরনো সেতুটি ভেঙে পড়েছিল। তদন্তে জানা যায়, সেতুর সংস্কারে খামতি ছিল। সে কারণেই বিপর্যয়। সংস্কারের দায়িত্বে ছিল ওরেভা সংস্থা। যারা অজন্তা ব্র্যান্ডের ঘড়ি তৈরি করে। বিজেপি পরিচালিত পুরসভা সেতু সংস্কারে দু’কোটি টাকা বরাদ্দ করলেও সংস্থাটি মাত্র ১২ লক্ষ টাকা খরচ করেছিল।