সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে ছিল মৃত্যুদূতেরা! শৌচকর্মের জন্য বাইরে বেরোতেই ঝাঁপিয়ে পড়ল তারা। গুজরাটে (Gujarat) এক সঙ্গে দু’টি সিংহের (Lion) আক্রমণে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক কিশোরীর। সেই সময় তার সঙ্গে ছিল ওই কিশোরীর তুতো বোন। কোনও মতে প্রাণে বেঁচে যায় সে। দেহ উদ্ধার হওয়ার পরে দেখা যায় মৃত কিশোরীর হাঁটু থেকে উরু পর্যন্ত ততক্ষণে খেয়ে ফেলেছে সিংহ দু’টি। ঘটনায় শিউরে উঠেছে গ্রামবাসীরা।
মৃত কিশোরীর নাম ভাবনা। গুজরাটের ধনফুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সতেরো বছরের ভাবনা ও তার তুতো বোন রেখা রাত দশটা নাগাদ শৌচকর্ম করতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিল। ঠিক তখনই অতর্কিতে ঘটে যায় ভয়ংকর ঘটনাটি। ঠিক কী হয়েছিল? রেখা জানাচ্ছে, বাইরের কনকনে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে চাদরে সারা দেহ মুড়ে রেখেছিল তারা। সেই সময় আচমকাই তাদের উপের লাফিয়ে পড়ে সিংহ দু’টি। ভাবনার মাথা কামড়ে ধরে তাকে নিয়ে দৌড় দেয় তারা। আতঙ্কে রেখা লাফিয়ে পড়ে পাশেই এক জলের ট্যাঙ্কের দিকে। সেই সঙ্গে প্রবল চিৎকারও করতে থাকে সে।
[আরও পড়ুন : নেতৃত্বের দৈন্যদশা! শেষে বিজেপি নেতাকেই বড়সড় পদ দিয়ে বসল কংগ্রেস]
দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তাদের পরিবারের সদস্যরা। শুরু হয় তল্লাশি। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এক সিংহ বিশেষজ্ঞও। সকলে মিলে চিৎকার শুরু করেন তাঁরা। উদ্দেশ্য, সিংহগুলি যাতে আওয়াজ ও হইহই শুনে পালিয়ে যায় ভাবনাকে ছেড়ে। কিন্তু সব পরিকল্পনাই ব্যর্থ হয়। মিনিট পনেরো পরে সেখানে হাজির হয় বন দপ্তরের প্রতিনিধি দল। তারা কিছুক্ষণ পরে উদ্ধার করে ভাবনার মৃতদেহটি। দেখা যায় সিংহ দু’টি ওই কিশোরীকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে টেনে নিয়ে গিয়ে খেতে শুরু করেও দিয়েছিল। তার হাঁটু থেকে উরু পর্যন্ত খাওয়ার পর হইহই শুনে দেহটি সেখানেই রেখে পালিয়ে যায় তারা।
কিন্তু সিংহ সাধারণত বিশেষ কারণ ছাড়া নরখাদক হয় না। তাহলে তারা কেন আক্রমণ করল ওই কিশোরীকে? বন দপ্তরের আধিকারিক এসকে শ্রীবাস্তবের মতে, যেহেতু ওই কিশোরীরা চাদর মুড়ি দিয়ে রেখেছিল, তাই অন্ধকারে তাদের ছোট কোনও পশু বলে ভুল করেছিল সিংহ দু’টি। আপাতত তাদের ধরতে ফাঁদ পেতেছে বন দপ্তর। আর কোনও মানুষকে আক্রমণ করার আগেই তাদের ধরে ফেলাই লক্ষ্য বলে জানাচ্ছেন বন আধিকারিকরা।