অর্ণব দাস, বারাকপুর: আগামী ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের (2024 Lok Sabha Election) গণনা ও ফলপ্রকাশ। ঘোষণার দিন বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের গণনাকেন্দ্র রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজে প্রভাব খাটিয়ে তৃণমূল গণনায় কারচুপি করতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিলেন বারাকপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। এক্স হ্যান্ডেলেও এ নিয়ে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে পোস্ট করেছেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও তিনি এই প্রসঙ্গে সরব হন।
বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী বাহুবলী অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) কথায়, "পুলিশের প্রোটেকশন পাওয়া কেউ, বিধায়ক পুরসভার চেয়ারম্যান নিয়মানুসারে গণনাকেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু আমার কাছে খবর আছে, এই রকম অনেকেই কাউন্টিং সেন্টারের (Counting Centre) ভিতরে থাকার জন্য ভুয়ো কার্ড বানাচ্ছে। গত বিধানসভা ভোটে কাউন্টিং হলে থেকে প্রশাসন এবং তৃণমূল কারসাজি করে বিজেপির অনেক প্রার্থীকে হারিয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটেও বিডিওরা বিজেপির এজেন্টদের বার করে ফলস সার্টিফিকেট ইস্যু করেছিল। এবার তেমনই করতে চাইছে।" একইসঙ্গে তাঁর আরও অভিযোগ, "রান্না করার নাম করেও কিছু অপরাধীদের গণনাকেন্দ্রের ভিতরে ঢোকানো চেষ্টায় রয়েছে তৃণমূল। তাই আমি বলব, গণনাকেন্দ্রের ভিতরে যেন রান্না না হয়, খাবার বাইরে থেকেই আনানো হোক। গণনা কেন্দ্রের গেট থেকে ভিতরের সমস্ত জায়গার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেওয়া হোক। কাউন্টিং হলের ভিতরে থেকে ব্যাপকভাবে কারচুপির চেষ্টার এই সমস্ত বিষয় জানিয়ে ইলেকশন কমিশনকে (Election Commission of India) চিঠি দিয়েছি।"
[আরও পড়ুন: সেক্স স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে দেশছাড়া নাতি, কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া]
বিজেপি প্রার্থীর এই অভিযোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল (TMC)। জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের প্রতিক্রিয়া, ''নিজের কথা কি ভুলে যায়? গতবার লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদী যখন গণনাকেন্দ্র থেকে বের হচ্ছিল, তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল। আসলে ভয় পাচ্ছে, কারণ বিজেপি বুঝতে পেরেছে হেরে যাবে। তাই ওদের কাউন্টিং এজেন্ট কেউ যেতে চাইছে না। কিছু গদ্দার আছে যারা যাবে, তারা তৃণমূলের খেয়ে বড় হয়েছে, তৃণমূলের নামেই চলত। তাছাড়া কেউ যাবে না।''
দেখুন ভিডিও: