অর্ক দে, বর্ধমান: ভোটপ্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল শিবিরে গিয়ে বৃহস্পতিবার 'গান্ধীগিরি' দেখিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তৃণমূলের শরবত-সৌজন্য নিয়ে শুক্রবার তিনি পালটা জবাব দিলেন। বললেন, ''তৃণমূলের শরবত বেশি মিষ্টি। তারা ভালোবেসে আমাকে শরবত দিয়েছিল। আমি চিনি খাই না। ওদের ভালোবাসাটা খেয়েছি। যারা আমার গাড়ি ভাঙত, কালো পতাকা দেখাত, এখন তারাই শরবত খেতে ডাকছে। তৃণমূলের (TMC) পরিবর্তন হচ্ছে।''
বৃহস্পতিবার বর্ধমানের তালিতের কাছে তৃণমূলের শরবত বিলি শিবিরে দেখা গিয়েছিল অন্য ছবি। তৃণমূলের এই শিবিরের কাছ দিয়ে প্রচার করতে যাচ্ছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের (Bardhaman Durgapur)বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তাঁর গাড়ি দেখে থামান তৃণমূল কর্মীরা। হাসি মুখে দিলীপ গাড়ি থেকে নেমে সেই শিবিরে ঢোকেন। তাঁকে শরবত দেওয়া হয়। গরমে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হওয়ায় তৃণমূল কর্মীদের দেওয়া সেই শরবতও খান বিজেপি (BJP) প্রার্থী। মাইক হাতে নিয়ে বক্তব্যও রাখেন। সকলকে সুস্থ থাকার পরামর্শ দিয়ে শিবির থেকে বেরিয়ে আসেন।
[আরও পড়ুন: নতুন বছরে চড়চড়িয়ে বাড়বে গরম, পয়লা বৈশাখের আনন্দ মাটি করবে বৃষ্টি?]
আর শুক্রবার সেই শরবত-সৌজন্যের জবাব দিলেন দিলীপ। এ নিয়ে বলেন, ''তৃণমূলের শরবত বেশি মিষ্টি। তারা ভালোবেসে শরবত দিয়েছিল। আমি চিনি খাই না। ওদের ভালোবাসাটা খেয়েছি।'' তবে তাঁকে ঘিরে তৃণমূল কর্মীদের এই সৌজন্য নিয়ে দিলীপের মন্তব্য, ''তৃণমূলে পরিবর্তন হয়েছে।'' তবে বৃহস্পতিবারের মতো এদিন 'গান্ধীগিরি' নয়, বরং স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে গরম গরম কথা বলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর কথায়, ''মুখ্যমন্ত্রী কেবল দাঙ্গা ও হিংসার কথা বলেন। ইদের অনুষ্ঠানে গিয়েও এসব বলেন। বিজেপি সম্প্রীতি দিয়ে সব ঠিক করবে। বিজেপির কিছু লাগে না। বিজেপির ভোটই অস্ত্র। আমরা চুপ করে বসে থাকতে আসিনি। শুধু চেলা কাঠ নয়, প্রয়োজনে গোটা কাঠও দেব। যে যা ভাষা বোঝে, সেটাই বলতে হবে। বিজেপি পুরোপুরি জবাব দেবে।''