সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল বিধায়ক ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ভরা জনসভাতেই বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুললেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে হাড়োয়ায় জনসভা করতে গিয়ে মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগের কথা বললেন তিনি। জনসভা থেকে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলের এমএলএ থাকবেন, কিন্তু মিটিংয়ে আসবেন না, তা চলবে না। যতক্ষণ পায়ে ধরে ক্ষমা না চাইবে, ততক্ষণ ঊষারানি মণ্ডলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আপনাদের মতো লোক চাই না। আপনি স্বামীকে নিয়ে দলটাকে বেচে দেবেন ভাবছেন? এটা মানব না।’’ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)নির্বাচনী সভায় উষারানিকে গরহাজির হতে দেখেই তোপ দাগলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) ঊষারানি মণ্ডলকে নিয়ে আগেও বিতর্ক হয়েছিল। বিশেষত তাঁর বাংলাদেশি পরিচয় নিয়ে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই ইস্যুতে তাঁর মনোনয়ন বাতিলের দাবি তুলেছিল বিজেপি। যদিও সেবার ভোটে জিতে ফের বিধায়ক হন ঊষারানি। এনিয়ে তিনবারের বিধায়ক তিনি। তবে চব্বিশের লোকসভা ভোটে (2024 Lok Sabha Election) আচমকাই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে, ঊষারানি মণ্ডল এবং মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের সঙ্গে বিজেপি (BJP) ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে বলে তাঁর কাছে অভিযোগ আসছিল। এর পর শনিবার নির্বাচনী জনসভাতেই গরহাজির বিধায়ক। আর তা নিয়ে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী।
[আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের অ্যালার্ট দেবে ‘ভূদেব’ অ্যাপ, সাফল্য আইআইটি গবেষকদের]
মঞ্চে ঊষারানিকে না দেখে রীতিমতো খেপে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, "'আমি আজই বলে গেলাম, আপনাকে নিয়ে দল চলবে না। ব্লকের যাঁরা আছেন, সংগঠনের যাঁরা আছেন তাঁরা দেখে নেবেন। যতক্ষণ না সে ক্ষমা চাইবে, পায়ে না ধরবে ততক্ষণ ঊষারানি মণ্ডলকে আমরা মানি না, আমরা মানি না, আমরা মানি না।" আগামী ১ জুন, বসিরহাটে লোকসভা ভোট। সন্দেশখালি ইস্যু ঘিরে এই কেন্দ্রের ভোটের দিকে নজর সমস্ত রাজনৈতিক দলের। লাগাতার প্রার্থীর সমর্থনে সভা করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এই অবস্থায় ঊষারানিকে নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর ক্ষোভ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।