সুমন করাতি, হুগলি: ভোট প্রচার, জনসংযোগের চাপ। তার উপর রয়েছে নিজস্ব ডায়েট। তাই হাতের কাছে বিখ্যাত জলভরা সন্দেশ পেয়েও খাওয়া হল না হুগলিতে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার প্রবল গরমের মধ্যে প্রচারে বেরনো রচনাকে ঠান্ডা জল ও অন্যান্য পানীয় খেলেও জলভরা সন্দেশে 'না' বললেন রচনা। এখনও বিখ্যাত সন্দেশের স্বাদ না পেয়ে কিছুটা আক্ষেপ করলেও জানালেন, পরে নিশ্চয়ই তা খাবেন।
চন্দননগরে প্রচারে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নিজস্ব চিত্র।
শুক্রবার লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Election) প্রচারে চন্দননগরে গিয়েছিলেন হুগলি কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়েও এলাকার বিখ্যাত জলভরা সন্দেশ (Sweet) খাওয়া হল না টেলি তারকার। জনসংযোগের সময় অনেকেই তাঁকে ঠান্ডা জল, ঠান্ডা পানীয় ছাড়াও বাড়ির তৈরি খাবার এগিয়ে দিয়েছেন। প্রার্থী কোনওটা নিয়েছেন, আবার কাউকে বিনয়ের সুরে বলেছেন, অনেক খাওয়াদাওয়া হয়ে গিয়েছে। আজ নয়, পরে একদিন। শুক্রবার চন্দননগরে প্রচারে বেরিয়ে যেমন সেখানকার প্রসিদ্ধ জলভরা সন্দেশ এখনও পরখ করতে পারেননি বলে কিছুটা আক্ষেপের সুরেই জানালেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘চন্দননগরের জলভরা এখনও খাওয়া হয়নি। পরে খাব।’’ চন্দননগরের আলো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagaddhatri Puja) মতো এই শহরের জলভরা সন্দেশের খুব নামডাক। রচনা বললেন, তিনি এই মিষ্টি পরে অবশ্যই খাবেন। কোনওভাবেই এর স্বাদ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করে রাখবেন না।
[আরও পড়ুন: NOTA সর্বোচ্চ ভোট পেলে বাতিল হবে নির্বাচন? কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট?]
প্রচন্ড গরম আর চড়া রোদের মধ্যেই শুক্রবার চন্দননগর (Chandannagar) বিধানসভা এলাকায় প্রচার এবং জনসংযোগ সারেন রচনা। স্টেশন রোড কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে চন্দননগর পুরনিগমের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রচার করেন। ঢাক বাজিয়ে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ হাতে নিয়ে চলে শোভাযাত্রা। প্রচারে রচনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, চন্দননগর মানেই তো শিল্পের শহর, সেখানে কী বার্তা দেবেন তৃণমূল প্রার্থী? তাঁর জবাব, ‘‘এখনও বার্তা দেওয়ার সময় আসেনি। এখন শুধুই প্রচারের সময়।’’