সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ৭৪তম সাধারণতন্ত্র দিবসে ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী গোটা দেশ। এই প্রথম ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজে যে সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম অংশ নিল, তার প্রতিটি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। পাশাপাশি, দেশের মোট ৬৬৮ জন পুলিশকর্মীকে সম্মানিত করবেন রাষ্ট্রপতি। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার ২২ জন।
জাভেদ শামিম ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পাচ্ছেন প্রেসিডেন্টস মেডেল। পুলিশ মেডেল ফর মেরিটোরিয়াস সার্ভিস পাচ্ছেন সুনীলকুমার চৌধুরি (আইজি, ভবানী ভবন), ধীরেন্দ্র সিংহ (এসিপি, কলকাতা পুলিশ), শঙ্করপ্রসাদ ঘোষাল (ডিএসপি, ভবানী ভবন), স্বরূপকান্তি পাহাড়ি (ইন্সপেক্টর, কলকাতা পুলিশ), নীলমণি নন্দী (ইন্সপেক্টর, কলকাতা পুলিশ), উজ্জ্বল হাজরা (ডিসিপি, বডি গার্ডস লাইন), বিশ্বজিৎ রায় (কনস্টেবল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ), অমল মল্লিক (কনস্টেবল, কলকাতা পুলিশ), অরুণ কুমার তামাং (নায়েক সুবেদার, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ), বুলু সেনাপতি (এএসআই, কলকাতা পুলিশ), অসীমকুমার সাহা (বডিগার্ডস লাইন, কলকাতা পুলিশ), রথীন্দ্রনাথ ভৌমিক (এএসআই, কলকাতা পুলিশ), তপন রায় (এসআই, কলকাতা পুলিশ), অমরচন্দ্র ধীবর (এসআই, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ), স্বপনকুমার হুদাইত (এএসআই, কলকাতা পুলিশ), বাসুদেব সরকার (আইসি, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ), পূর্ণিমা ঘোষাল (কনস্টেবল, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ), শঙ্কর মজুমদার (কনস্টেবল, কলকাতা পুলিশ)।
[আরও পড়ুন: পদ্ম রাজনীতি! সম্মান প্রাপকদের তালিকায় একাধিক বিজেপি নেতা, স্বীকৃতি ওবিসি নেতা মুলায়মকেও]
তিন সিবিআই কর্মী – হেড কনস্টেবল জওহরলাল নায়েক, হেড কনস্টেবল দেবদত্ত মুখোপাধ্যায় এবং স্টেনোগ্রফার খোকন ভট্টাচার্যও পাচ্ছেন পুলিশ মেডেল। এছাড়া, সিবিআইয়ের তিন আধিকারিকও মেডেল পাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এবার কর্তব্যপথের কুচকাওয়াজে তিন সামরিকবাহিনী তুলে ধরছে ‘নিউ ইন্ডিয়া’-র বিভিন্ন দিক। নিয়মমাফিক রাজধানী জুড়ে নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি। শহরজুড়ে বসানো হয়েছে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম (এফআরএস) সম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা। যেখানে প্রায় ৫০ হাজার সন্ত্রাসবাদী ও দুষ্কৃতীর তথ্য দেওয়া রয়েছে। এই ক্যামেরায় তাদের কেউ ধরা পড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যালার্ট চলে যাবে দিল্লি পুলিশের কাছে।