অভিষেক চৌধুরী, কালনা: বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে এবার দল ছাড়লেন বর্ধমান পূর্বের বিজেপির জেলা সম্পাদক ও নির্বাচনী এজেন্ট সুরজিৎ কর্মকার। তাঁর সঙ্গে বিজেপির বহু নেতা-কর্মী বৃহস্পতিবার হাতে তুলে নিলেন তৃণমূলের (TMC) পতাকা। লাগাতার এই দলত্যাগ বিজেপির চিন্তা বাড়াচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।
বর্ধমান পূর্ব বিজেপির জেলা সম্পাদক ছিলেন সুরজিৎ কর্মকার। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। জেলার প্রথম সারির নেতাদের মধ্যেই ছিলেন সুরজিৎ। এক সময় জেলার যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। পরবর্তীতে বর্ধমান পূর্ব বিজেপির জেলা সম্পাদক হন তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভার প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট হন তিনি।
[আরও পড়ুন: মাতৃস্নেহ! গাড়ি চাপা পড়ে মৃত কুকুরছানা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা সন্তানের দেহ আগলে শোকার্ত মা]
আচমকাই ছন্দপতন। বৃহস্পতিবার পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের নসরতপুরে তৃণমূলের তরফে একটি যোগদান সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই সুরজিৎ কর্মকার-সহ বিজেপির প্রায় আড়াইশো জন তৃণমূলে যোগ দেন। সেই যোগদান সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন সুরজিৎ কর্মকার। তিনি অভিযোগ করেন, বিধানসভা ভোটে টিকিট দেওয়ার নাম করে তাঁর থেকে প্রচুর টাকা নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শীর্ষনেতৃত্ব। কিন্তু টিকিট তিনি পাননি। পাশাপাশি বিজেপি নেতারা আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এই যোগদান সভা থেকে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, আড়াইশো জন বিজেপি থেকে যোগ দিলেন। পাশাপাশি সুরজিৎ কর্মকারকে জেলার যুব সংগঠনে পদ দেওয়ার প্রস্তাবও দেন তিনি। এদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপির জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “টাকা দিয়ে বিজেপিতে টিকিট পেতে হয় তা আমার জানা নেই। উনি যদি প্রতারিত হয়েই থাকেন তাহলে আগে দল ছাড়লেন না কেন? উনি তো নিজেই জেলার নেতা ছিলেন। তাই উনি তো নিজেই দলের কর্মী সমর্থকদের পাশে দাঁড়াতে পারতেন।”