নব্যেন্দু হাজরা: চড়চড়িয়ে বাড়ছে জ্বালানির দাম। উপরন্তু করোনা পরিস্থিতিতে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বাস মালিকদের।এমন পরিস্থিতিতে বারবার ভাড়া (Bus Fare) বৃদ্ধির দাবিতে সরব হয়েছেন বাস মালিকরা। মুখ্যমন্ত্রী, পরিবহণমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন তাঁরা। এবার বাস মালিকদের সেই দাবি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গড়লেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই কমিটিই ভাড়াবৃদ্ধি নিয়ে বাসমালিকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালাবে। পাশাপাশি সোমবার রাজ্যে ই-বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সোমবার পরিবহণ বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। সেই বৈঠকেই এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।পরিবহণ বিভাগের দুই কর্তার সঙ্গে কমিটির সদস্য হচ্ছে অর্থদপ্তরের এক কর্তা। তাঁরা দফায়-দফায় বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক সেরে পরিবহণমন্ত্রীকে রিপোর্ট জমা দেবেন। পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় বহু রুটের বাসের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে অনেক সময় অভিযোগ ওঠে। এ প্রসঙ্গে পরিবহণমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে তাঁদের পছন্দমতো রুট দেওয়া হতে পারে।
[আরও পড়ুন: শুধু দলত্যাগীরা নয়, ভোটে জয়ী BJP প্রার্থীরাও যোগাযোগ করছেন: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়]
এদিকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় নতুন মেট্রো প্রজেক্ট হচ্ছে। শহরতলিতেও জালের মতো ছড়িয়ে পড়ছে মেট্রো নেটওয়ার্ক। সেইসমস্ত এলাকায় যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই বাসের রুট বদলাতে পারে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে নতুন অটো রুটও চালু করা যেতে পারে বলে মত পরিবহণমন্ত্রীক। শুধুমাত্র যাত্রী পরিষেবাই নয়, মন্ত্রীর কড়া নজর রয়েছে পরিবেশ দূষণ রোধের দিকেও। আর তাই শহরে ই-বাস চলাচল নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শহরে ই-বাসের সংথ্যা আরও বাড়ানোর কথা আগেই জানিয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী। এদিন তিনি আরও জানান, পুরনো সরকারি বাস বদলে ইলেকট্রিক বাস নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে পরিবহণ দপ্তরের। আগামী ২ বছরের মধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে। এই বাসের ক্ষেত্রে ভাড়ার বিষয়টা আমজনতার চিন্তার বিষয় হবে না।” মূলত শহরের দূষণ কমাতেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। এছাড়া, গঙ্গায় ই-ভেসেল চালানোর বিষয়েও বৈঠক করেন তিনি।