সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে জোড়া দুর্ঘটনা উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। মৃত অন্তত ৩১। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই পুণ্যার্থী। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত ২০ জন। শনিবার রাতের দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাত। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে উন্নাওয়ের ঘাটামপুর এলাকায়। চন্দ্রিকা দেবীর মন্দির থেকে ৫০ জন পুণ্যার্থীকে নিয়ে একটি ট্রাক্টর ট্রলি ফিরছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায় ট্রাক্টরটি। পুলিশ সূত্রের খবর, অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও মহিলা। জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২০ জন। এই ঘটনায় স্থানীয় থানার ইনচার্জকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কানপুরের পুলিশ সুপার টি এস সিং জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি করেছিল পুলিশ। ফলে উদ্ধারকাজ শুরু হতে বিলম্ব হয়। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে থানার ইনচার্জকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচের পরে সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১২৯]
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন তিনি। দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। পাশাপাশি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বর্ষীয়ান মন্ত্রী রাকেশ সঞ্চন ও অজিত পাল। আমজনতাকে যাত্রীবাহী পরিবহণ হিসেবে ট্রাক্টর-ট্রলি ব্যবহার না করার আরজি জানিয়েছেন দুই মন্ত্রীই। শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও।
এদিকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কানপুরের আরহিন উড়ালপুলের কাছে লরি-টেম্পোর মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, মালবোঝাই লরিটি বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটোদিক থেকে আসা টেম্পোকে মুখোমুখি ধাক্কা পারে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।