সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল অতিকায় বাঘিনী। তাকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে হামলা করল গ্রামবাসী। লাঠির আঘাত ও ছোড়া পাথরের আঘাতে অন্ধই হয়ে গেল পশুটি। এমনই এক বেদনাদায়ক ঘটনার সাক্ষী হল অসমের নগাঁও।
গত জুলাইয়ে হওয়া বন্যার ধাক্কায় অসমে কেবল মানুষই নয়, পশুরাও প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের বাসা ভেঙে গিয়েছে বা জলের তোড়ে ভেসেও গিয়েছে। সেই কারণে ঠাঁইনাড়া হয়ে ইতস্তত ঘুরতে হচ্ছে তাদের। এই বাঘিনীও তেমনই এক পথভ্রষ্ট প্রাণী বলে মনে করছে বন দপ্তর। কামাখ্যা অভয়ারণ্য ছেড়ে সে ঢুকে পড়েছিল গ্রামে। আর তার পরই ছড়িয়ে যায় আতঙ্ক। যদিও কাউকেই আক্রমণ করেনি অতিকায় বাঘিনীটি। কোনও মানুষ কিংবা গৃহপালিত পশুর উপরে হামলার ঘটনা না ঘটলেও স্রেফ আতঙ্কিত হয়েই তাকে পাথর ছুড়তে শুরু করে বহু মানুষ। আর তাতেই চোখে আঘাত পায় সে। জানা গিয়েছে, তার বাঁ চোখটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ডান চোখটিও ক্ষতিগ্রস্ত।
রেঞ্জার বিভূতি মজুমদার বলছেন, ''গত জুলাই থেকেই এই অবস্থা। বন্যার কারণে জঙ্গলের পাশের গ্রামে অহরহ ঢুকে পড়ছে বাঘ।'' আহত বাঘটিকে কাজিরাঙার 'সেন্টার ফর ওয়াইল্ড লাইফ রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড কনজারভেশন'-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, কেবল চোখেই নয়, মাথা ও শরীরে অভ্যন্তরেও চোট পেয়েছে বাঙিনীটি। রেঞ্জ অফিসার জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই হামলায় কারা জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সুস্থ না হলে বাঘটির পুনর্বাসনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন ওই আধিকারিক। সম্ভবত বাকি জীবন চিড়িয়াখানাতেই কাটাতে হবে ওই দৃষ্টিহীন বাঘিনীকে।