shono
Advertisement

রাজ্যে রাজ্যে বাড়তে থাকা চাহিদার মধ্যেই হাসপাতাল থেকে খোয়া গেল ৩২০ ডোজ করোনা টিকা!

কীভাবে খোয়া যায় এত টিকা? কী উত্তর হাসপাতালের?
Posted: 07:56 PM Apr 14, 2021Updated: 08:11 PM Apr 14, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিকা নিয়ে কয়েকটি রাজ্যে ‘নেই নেই’ চিৎকার চলছে। তার মধ্যেই আবার টিকা খোয়া যাওয়ার ঘটনা সামনে এল। বুধবার রাজস্থানের একটি হাসপাতালে এমনই ঘটনা সামনে আসে। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের ৩২০টি ডোজ খোয়া যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে হাসপাতালের তরফে। হাসপাতালের তরফে টিকা চুরি নিয়ে পুলিশে একটি অভিযোগও জানানো হয়েছে। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের (Rajasthan) মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত গত সপ্তাহেই প্রয়োজনের তুলনায় করোনা (Coronavirus) টিকার অপ্রতুলতার কথা বলেন। তার মাঝেই হাসপাতাল থেকে চুরি গেল এতগুলি ডোজ।

Advertisement

বুধবার জয়পুরের শান্তিনগরে কানওয়াতি হাসপাতালে ভ্যাক্সিন সেন্টার থেকে কোল্ড স্টোরেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল টিকাগুলি। মাঝপথে কোথাও একটা টিকার ৩২টি ভায়াল খোয়া যায়। প্রতিটি ভায়ালে টিকার ১০টি ডোজে থাকে। হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল অফিসার নরোত্তম শর্মা জানিয়েছেন, তাঁরা এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশে একটি অভিযোগও জানানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘বহিরাগতদের আনছে, রোগ ছড়িয়ে চলে যাচ্ছে’, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির জন্য বিজেপিকে তোপ মমতার]

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী গত সপ্তাহে অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যে যা টিকার চাহিদা রয়েছে তার থেকে কম যোগান রয়েছে। তাই রাজস্থানের কয়েকটি জেলায় টিকাকরণ কর্মসূচি স্থগিত করে দিতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত আরও অভিযোগ করেন, কেন্দ্র একদিকে বলছে দেশে পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে কিন্তু টিকা চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। এর পরেও তিনি দাবি তোলেন, দেশে কোথায় কত টিকা প্রয়োজন রয়েছে আর কত যোগান রয়েছে সেই তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক।

রাজস্থান ছাড়াও মহারাষ্ট্র এবং অন্য আরও কয়েকটি রাজ্যের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম পাওয়া যাচ্ছে করোনার টিকা। আর এই অভিযোগ অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই বেশি উঠেছে। তবে সম্প্রতি যোগীর উত্তরপ্রদেশেও একটি হাসপাতালে করোনার টিকা নেই বলে অভিযোগ ওঠে।হাসপাতালে হাসপাতালে রোগীরা বেড পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে গুরুতর অসুস্থ রোগীদেরও যাতে ঘরে রেখেই চিকিৎসা করা যায় তার জন্য আরও নতুন ব্যবস্থা করছে মহারাষ্ট্র সরকার। মুম্বইয়ে ঘরে ‘আইসিইউ’ পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই পরিষেবায় রোগীর ঘরে নার্স, ওষুধ, অনলাইনে চিকিৎসকদের পরামর্শ, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ফিজিওথেরাপিস্ট পৌঁছে যাবে। এই পরিষেবার জন্য দেড় হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: নববর্ষ কি শুধুই হিন্দুদের? পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছাতেও বিভাজনের চেষ্টা দিলীপের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement