সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খোদ নরেন্দ্র মোদির গুজরাটেই বেহাল শিক্ষাব্যবস্থা। আর শিক্ষামন্ত্রীর তথ্যেই বেআব্রু বিজেপি (BJP) শাসিত গুজরাটের (Gujarat) শিক্ষাব্যবস্থার সেই হাল। জানা গিয়েছে, গুজরাটে মোট ৩৪১টি প্রাইমারি স্কুলে ক্লাসরুমের সংখ্যা মাত্র একটি। শুধু তাই নয়, ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির হারও যথেষ্ট কম। ২০২৩ সালে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যেই প্রাইমারি স্কুলগুলির ২৫ শতাংশ পড়ুয়া গুজরাটি ভাষা পড়তেই পারে না।
অন্যদিকে ইংরেজি পড়তে পারে না প্রায় ৪৭.২০ শতাংশ পড়ুয়া। আর এই তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর সরব হয়েছে বিরোধীরা। সংবাদ সংস্থার খবর, বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে গুজরাটের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস বিধায়ক কিরীট প্যাটেল। সেই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী কুবের দিন্দোর বিভিন্ন তথ্য জানান। সেখানেই মন্ত্রী সূত্রে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে গণধর্ষণের আরও এক মামলা দায়ের, রাতে এলাকা পরিদর্শনে ডিজি]
গুজরাটে মোট ৩৪১টি প্রাইমারি স্কুলে ক্লাসরুমের সংখ্যা মাত্র একটি। এমনকী শ্রেণিকক্ষের অবস্থাও শোচনীয়। কারণ, স্কুল তৈরির জন্য জমির অভাব। এছাড়াও জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত রিপোর্টে প্রকাশ ১৪০০-র বেশি পদ এখনও ফাঁকা রয়েছে শিক্ষা দপ্তরে। কংগ্রেস বিধায়ক কিরীট প্যাটেল বলেন, “শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির দিক থেকে ভারতের প্রথম পাঁচটি রাজ্যের মধ্যেও নাম নেই গুজরাটের। বিজেপি শুধু প্রচারই করছে। আসলে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কাজের কাজ কিছু হয়নি।”
[আরও পড়ুন: জন্মেই রেকর্ড বিরাটপুত্রের! ‘বাবার নজির ভাঙবে অকায়’, আশা পাকিস্তানি ক্রিকেটপ্রেমীদের]
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। কুবের জানান, খুব শীঘ্রই শূন্যপদগুলিতে চাকরি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ১৪৫৯টি পদ এখনও শূন্য রয়েছে। ৭৮১টি পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত ৬৫ হাজার স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি করা হয়েছে। আরও ৪৩ হাজার স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরির কাজ চলছে।