সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেকসুর খালাস পেলেন তবলিঘি জামাতের (Tablighi Jamat) ৩৬ বিদেশি সদস্য। মঙ্গলবার দিল্লির এক আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেয়। ১৪ দেশের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি।
চার্জশিটে ৩৬ জনের বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ ছিল। ভিসার নিয়ম ভাঙার অভিযোগ ছিল আরও আট বিদেশি জামাত সদস্যের বিরুদ্ধেও। এদিন দিল্লির চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অরুণ কুমার গর্গ সকলকেই রেহাই দেন। কারোর বিরুদ্ধেই প্রমাণ মেলেনি বলে খবর।
[আরও পড়ুন : ‘আমার সঙ্গে বৈঠকে কৃষি বিলকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন কৃষকরা’, দাবি কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, মার্চ মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের ধর্মীয় সভায় যোগ দেওয়া ৩৬ তবলিঘি জামাত সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছিল। গত ২৪ আগস্ট তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ নং ধারা (সরকারি কর্মচারীর নির্দেশের বিরুদ্ধাচারন), ২৬৯ নং ধারা, মহামারী আইনের তিন নম্বর ধারা-সহ একাধিক ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাই এদিন তাদের রেহাই দিল আদালত।
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের এক ধর্মসভায় অংশগ্রহণকারী বহু তবলিঘি সদস্য করোনায় আক্রান্ত হন। তারপর থেকেই ওই সংগঠনটি সরকারের রোষের মুখে পড়েছে। তবে তবলিঘি জামাতের বিদেশি সদস্যদের ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সরকারকে।
[আরও পড়ুন : ‘বিজেপিই আসল টুকরে টুকরে গ্যাং’, কটাক্ষ অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদলের]
এমনকী, বম্বে হাই কোর্ট নিজামুদ্দিন মারকাজের ধর্মীয়সভায় যোগ দেওয়া বিদেশি তবলিঘি জামাত সদস্যদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা খারিজ করে দেয়। বম্বে হাই কোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চের দুই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, “পুলিশ রাজনৈতিক চাপে পড়ে ওই জামাত সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। বিদেশিদেরই বলির পাঁঠা করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।” অথচ আদালতে একজনের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণিত হয়েনি।