সুব্রত বিশ্বাস: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে নগদ টাকা ঢুকছে কলকাতায়! খবর পেয়ে শুক্রবার হাওড়া স্টেশনে অভিযান চালায় রেল পুলিশ। তার পর রাজধানী এক্সপ্রেসের ৫ যাত্রীকে আটক করা হয়। তাঁদের থেকে নগদ ২৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে রেল পুলিশ। ধৃতরা নিজেদের ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিলেও টাকার কোনওরকম তথ্য প্রমাণ পারেননি।
জানা গিয়েছে, ধৃত শুভম বর্মন ধানবাদ থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন। তার কাছে ১৬ লক্ষ টাকা ছিল। প্রয়াগরাজের সরল আগরওয়াল, প্রতাপগড়ের দীপক জয়সওয়াল, মকওয়াগঞ্জের যোগেন্দ্র কুমার ও নীতিন কেশওয়ানকে আটক করে ১১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে জিআরপি (পিআই) অফিসের কর্মীরা। একই দিনে পাটুলিপুত্র এক্সপ্রেসে হানা দেয় পূর্ব রেলের জামতাড়ার আরপিএফের জওয়ানরা। ১৭৫ বোতল মদ উদ্ধার করেন তাঁরা। লোকসভা নির্বাচনের আগে ট্রেনে টাকা, সোনা ও মদ পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হয়েছে। আর প্রথম থেকেই এই তল্লাশি অভিযানে সুফল মিলছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব রেলের আরপিএফের আইজি পরমশিব।
[আরও পড়ুন : ‘বহিরাগতরা যেন জামাকাপড় রেখে চলে যায়’, মন্দিরে প্রার্থনা করে কীর্তি আজাদকে তোপ দিলীপের]
অন্যদিকে, দোকানের আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল টিকিটের কালোবাজারি! খবর পেয়ে বিধাননগরের সিসি ব্লকে হানা দিয়ে কলকাতা স্টেশনের আরপিএফ সেই চক্রের সন্ধান পায়। দোকান মালিককে গ্রেপ্তার করে বেআইনিভাবে কাটা বেশ কিছু লাইভ টিকিট, প্রচুর তৎকাল টিকিট, রিকুইজিশন ফর্ম পায় আরপিএফ। কম্পিউটার, সিপিইউ, নগদ টাকা-সহ বেশ কিছু সরঞ্জাম আটক করেন আরপিএফ জওয়ানরা। এদিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলে প্রতারণার দায়ে দক্ষিণ পূর্ব রেলের এক সান্টম্যান ও এক প্রাক্তন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে জিআরপি। হাওড়া থেকে খড়গপুর পর্যন্ত তাঁদের প্রতারণার জাল ছড়িয়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার এক মহিলাকে চাকরি দেওয়ার নাম করে খড়গপুর স্টেশনে ডেকে পাঠিয়ে ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। ওই মহিলার অভিযোগ জানান আরপিএফের কাছে। তার পরই ওই দুজনকে প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার করে আরপিএফ।