সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট মিটলেও অশান্ত সন্দেশখালি। জায়গায়-জায়গায় গোলমাল। মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ কর্মীকেও মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবেষ।
ভোটের আগের রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালি। ভোটের পরেও সে অশান্তি মেটেনি। সন্দেশখালি ন্যাজাট থানার বয়ারমারী দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চুঁচুড়া-সহ একাধিক এলাকা থেকে গন্ডগোলের খবর সামনে এসেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে পুলিশের এসআই সাগির জামান বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। আপাতত ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
এর পরই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ন্যাজাট থানার অন্তর্গত ৪ গ্রাম পঞ্চায়েতের সড়বেড়িয়া, আগারহাটি, বয়রামারির মতো ১৭টি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রবিবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই নির্দেশিকা। কড়া নজর রাখছে কমিশনও।
[আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বে গেরুয়া ঝড়, অরুণাচলে বড় জয়ের পথে BJP, সিকিমেও জোট শরিকের জয়-জয়কার]
প্রসঙ্গত, ভোটের আগের রাত অর্থাৎ শুক্রবার বেড়মজুর এলাকায় কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। এর পর আটকদের ছেড়েও দেওয়া হয়। পরিস্থিতি রাতে স্বাভাবিক হয়। তবে শনিবার সকালে দক্ষিণ খুলনার ১৭৭ নম্বর বুথে রামকৃষ্ণ মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। মাথা ফেটে যায় রামকৃষ্ণের। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ওই তৃণমূল কর্মী বুথ দখল করতে গিয়েছিলেন। তাঁকে বাধা দিতে গিয়েই হামলা। সকাল থেকেই দফায় দফায় ছোট-বড় অশান্তির ঘটনা ঘটে। ঝরে রক্তও। X হ্যান্ডেলে ভোটে হিংসার কথা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এবার রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।