নিরুফা খাতুন: কল সেন্টারের আড়ালে প্রতারণা চক্র। বিদেশিনীর থেকে লক্ষ লক্ষ হাতিয়েছিল প্রতারকরা। আর সেই টাকা জমা পড়েছিল কলকাতারই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে। ইন্টারপোল থেকে খবর পেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। লখনউয়ে অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলকাতার যে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে তার সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বর ধরে খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, কানাডার ইন্টারপোল ভুয়ো কলসেন্টারের তদন্তে নেমে কলকাতার দুজনের খোঁজ মেলে। দিল্লির ইন্টারপোল দপ্তর থেকে খবর পায় কলকাতা পুলিশ। তারা তদন্ত নামতেই কলকাতার দুজনের পরিচয় প্রকাশ্যে আসে। একবালপুর এলাকার বাসিন্দা জুনেইদ আনসারি এবং গার্ডেনরিচ এলাকার শাদাব আলম। জানা যায়, কানাডার বাসিন্দা হেগার্টি-পটস জানুয়ারি মাসে দু’দফায় প্রায় ৫ লক্ষ টাকা কলকাতার রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে জমা করেন। প্রতারকরা কানাডার এক কমিউনিকেশন সংস্থার কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: কুণাল ঘোষের করা মানহানি মামলায় আদালতে হাজিরা বিমান-সেলিম-শতরূপের, পেলেন জামিন]
স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজন কলকাতার বাসিন্দা। মহম্মদ নওশাদ, মোয়াজ্জেম আহমেদ, আমন চৌধুরী এবং মহম্মদ শেশাদ ও উত্তর প্রদেশের আজিম খান। ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে একাধিক ডিভাইস এবং যন্ত্র।