সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুরারি কাণ্ডের ছায়া উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। শনিবার সকালে প্রয়াগরাজে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার করে পুলিশ। রোজ অশান্তি লেগে থাকত যে বাড়িতে এদিন সকালে দেখা যায় সেই বাড়ি শান্ত। সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরা বাড়িতে উঁকি মারতেই চমকে যান। দেখেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। এর পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একসঙ্গে পরিবারে পাঁচজনের মৃত্যুতে রহস্য দানা বেঁধেছে। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রয়াগরাজের নবাবগঞ্জ থানার অন্তর্গত খাগলপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পরিবারের কর্তা, তার স্ত্রী ও তিন কন্যার দেহ উদ্ধার হয়েছে। ৩৮ বছর বয়সী মহিলা ও তাঁর ১৪, ১০ ও ৮ বছরের তিন মেয়ের নলিকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। অন্য দিকে ৪২ বছর বয়সী গৃহকর্তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে বারান্দা থেকে।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে হিমোফিলিয়া রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর স্বীকৃতি, বাংলার ডাক্তারকে কুর্নিশ দিল্লির]
পুলিশের বক্তব্য, ঠিক কী কারণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট না হলেও অনুমান করা হচ্ছে গৃহকর্তাই স্ত্রী ও তিন কন্যাকে ধারাল কিছু দিয়ে নলি কেটে খুন করেন। শেষে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ফরেনসিক দল ও ডগ স্কোয়াডকে তদন্তে কাজে লাগানো হচ্ছে।
প্রয়াগরাজের এসএসপি (SSP) অজয় কুমার জানান, শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। বলেন, “পরিবারের কর্তার নাম রাহুল। তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। শরীরের কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পাশেই তিনটে চেয়ার রাখা ছিল। অনুমান করা হচ্ছে রাহুল আত্মহত্যা করেন। তদন্তের জন্য সাতটি আলাদা দল গঠন করা হয়েছে। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দেশে করোনায় প্রকৃত মৃত সরকারি হিসেবের ৮ গুণ! রিপোর্ট উড়িয়ে WHO-কে বিঁধল ভারত]
মৃত রাহুলের বোন-ভগ্নিপতির বক্তব্য, একাধিক বিষয়ে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে অশান্তি চলছিল রাহুলের। সেই কারণেই সে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। এদিকে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু নিয়ে সরগরম উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি।
এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের বিজেপি (BJP) সরকারের সমালোচনা করেছেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব। তিনি টুইট করেন, অপশাসনের ফলে অপরাধমূলক কাজে ডুবে যাচ্ছে রাজ্য। এখানে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। অখিলেশকে জবাব দিয়েছেন প্রয়াগরাজের এডিজি প্রেম প্রকাশ। তিনি লেখেন, প্রাথমিক তদন্ত যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে পারিবারিক অশান্তির কারণেই গৃহকর্তা সকলকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন।