গোবিন্দ রায়: রাজ্যে একাধিক মামলায় বাড়ছে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ। বাড়তে থাকা সেই সংক্রান্ত মামলার তদন্ত সামাল দিতে পর্যাপ্ত সিবিআই আধিকারিকের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে আদালতের জানান কেন্দ্রের কৌঁসুলি অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল।
বুধবার কাঁথি থানা এলাকায় টেন্ডার দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় সিবিআই তদন্তের আরজি জানিয়ে কাঁথি পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু ঘনিষ্ঠ শান্তনু পান্ডার স্ত্রী কাকলি পান্ডা। সেই আনা মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আদালতে উপস্থিত অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তীর উদ্দেশে পর্যাপ্ত সিবিআই আধিকারিক নিয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, “যে কোনও মামলা হলেই সিবিআই তদন্তের দাবি করা হচ্ছে। আর রাজনৈতিক বিরোধী হলে তো তিনি সেই দাবিতে অনড় থাকছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে সত্যিই তদন্ত সিবিআই কে দেওয়ার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি থাকছে। এতো মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হচ্ছে। আর কত হবে জানি না।” বিচারপতির প্রশ্ন, “সিবিআইয়ের কাছে পর্যাপ্ত লোক আছে তো?” উত্তরে সিবিআই আধিকারিকের অভাববোধের কথা স্বীকার করে নেন এএসজি। বলেন, “সিবিআইতে কর্মীর অভাব রয়েছে।” তবে এএসজি আদালতকে অবগত করেন, “শুধু এখানে মামলার চাপ সামলাতে আরও পাঁচজন দক্ষ অফিসার কলকাতায় আসছেন।”
[আরও পড়ুন: ‘না জানিয়ে আমাদের সরানো হয়েছিল, কোহলির সঙ্গে এরকম করা উচিত নয়’, বললেন ভাজ্জি]
এদিকে এ সংক্রান্ত মূল মামলায়, এদিন আদালতের নির্দেশে বিপাকে কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস। তাঁকে মামলায় ব্যাক্তিগত ভাবে পক্ষভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। একই সঙ্গে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সাপেক্ষেও তাঁকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তিন সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে হলফনামা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে অভিযোগ পত্রে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সওয়াল করেন মামলাকারির আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, “আইসি জোর করে মহিলাকে দিয়ে জাল নথিতে সই করান।” একই সঙ্গে, এদিন কাঁথি থানার ওসির চেম্বারে সিসিটিভি নেই বলে সওয়াল করেন রাজ্যের কৌঁসুলি। কেন সিসিটিভি থাকবে না, তা নিয়ে এসপিকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে মামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না। এনিয়ে আগামী দিনে সিবিআইকে তদন্ত হস্তান্তরের বিষয়ে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে আদালত।