shono
Advertisement

Breaking News

নোটবন্দির পর চাকরিতে কোপ ৫০ লক্ষ পুরুষের, সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

মহিলাদের এই সমীক্ষায় ধরা হয়নি, ধরা হলে সংখ্যাটা আরও বাড়বে। The post নোটবন্দির পর চাকরিতে কোপ ৫০ লক্ষ পুরুষের, সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 11:25 AM Apr 18, 2019Updated: 11:25 AM Apr 18, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্বস্তি আরও বাড়ল কেন্দ্রের মোদি সরকারের! কেন্দ্রের শাসকদলের মাথাব্যথা প্রথমে বাড়িয়েছিল ফাঁস হয়ে যাওয়া এক সরকারি সমীক্ষা-রিপোর্ট। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, ৪৫ বছরের মধ্যে দেশে কর্মসংস্থানের হাল সবচেয়ে খারাপ। কিন্তু এবার কেন্দ্র সরকারের অস্বস্তি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিল অনুরূপ আরও একটি রিপোর্ট। এই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, নোটবন্দির পর থেকে গত দু’বছরে প্রায় ৫০ লক্ষ পুরুষ চাকরি খুঁইয়েছেন। মহিলাদের এই নির্দিষ্ট হিসাবের আওতায় ধরা হয়নি। কিন্তু যদি তা হত, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই এই সংখ্যা আরও অনেকটাই বৃদ্ধি পেত বলে দাবি ওই নয়া সমীক্ষায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নির্বিঘ্নেই শুরু বারো রাজ্যের ৯৫ আসনের ভোট, শুরুতেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ইভিএম]

বেঙ্গালুরুর আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দ্য সেন্টার ফর সাসটেনেবল এমপ্লয়মেন্ট’ সম্প্রতি একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই তিন অধ্যাপক আনন্দ শ্রীবাস্তব, রোসা আব্রাহাম এবং অমিত ভোঁসলে। ঘটনাচক্রে, পরিসংখ্যান মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অর্গানাইজেশন নিয়মিত স্তরেই দেশে কর্মসংস্থান এবং বেকারত্ব নিয়ে সমীক্ষা করে। কিন্তু সংস্থার তরফে সমীক্ষার সেই তথ্য মেলে না। এর একমাত্র বিকল্প সেন্টার ফর মনিটরিং দি ইন্ডিয়ান ইকোনমি। এরা চার মাসের ব্যবধানে সমীক্ষা চালায়। তার থেকেই সংগৃহীত ১ লক্ষ ৬০ হাজার বাড়ির কর্মসংস্থানের তথ্যকে ভিত্তি এবং বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন সমীক্ষকরা।

আর তাঁদের সেই রিপোর্টে আর কী কী তথ্য খোলসা হয়েছে? ‘স্টেট অব ওয়ার্কিং ইন্ডিয়া ২০১৯’ শীর্ষক ওই রিপোর্টে নোটবন্দি এবং চাকরি হারানোর মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে কোনও যোগসূত্র স্থাপন করা না গেলেও, এটা স্পষ্ট যে, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের পর থেকে চাকরি খোয়ানোর প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে। শুধু চাকরিতে কোপ পড়াই নয়, এর পাশাপাশি সমীক্ষা রিপোর্টে কর্মসংস্থানের হারের তুল্যমূল্য আলোচনাও করা হয়েছে। আর তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১১ সাল থেকেই কর্মসংস্থানের হার নিম্নমুখী।

[আরও পড়ুন: প্রত্যাশার তুলনায় কমতে পারে বিজেপির আসন! দাবি দুই সমীক্ষক সংস্থার]

২০০০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বেকারত্বের হার ছিল ২ শতাংশের উপর। কিন্তু, ২০১১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ শতাংশের বেশি। ২০১৫ সালে তা হয় ৫ শতাংশের উপরে। কিন্তু সব সীমা পেরিয়ে যায় ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের পর। অর্থাৎ নোটবন্দির পর। তখন এই হার বেড়ে গিয়ে হয় ৬ শতাংশেরও বেশি। পুরুষ নয়। নোটবন্দির পর চাকরি বেশি হারিয়েছেন মহিলারাই। এমনটাই দাবি করছেন আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন গবেষক। ত্রয়ীর মতে, “পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই এই ক্ষেত্রে বেশি ভুক্তভোগী। মহিলাদের মধ্যে বেকারত্বের সংখ্যা যেমন বেশি, তেমনই কম চাকরিতে অংশগ্রহণ করার হার।” রিপোর্ট অনুযায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রেই নোটবন্দির প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সাধারণত অসংগঠিত ক্ষেত্রে কম শিক্ষিতরা চাকরি করেন আর সংগঠিত ক্ষেত্রে ঘটে ঠিক এর বিপরীতটা। সেই সূত্রেই এই নয়া সমীক্ষা-রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে নোটবন্দির ফলে অল্প শিক্ষিত যাঁরা, তাঁরাই বেশি চাকরি হারিয়েছেন।

The post নোটবন্দির পর চাকরিতে কোপ ৫০ লক্ষ পুরুষের, সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement