অর্ণব আইচ: কলকাতা পুলিশ হাসপাতালের ৫০ শতাংশ শয্যা সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য রাখা হবে। সোমবার ‘সেভ ড্রাইভ সেফ লাইফ’এর তৃতীয় বর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানান, রাজ্যে এবং কলকাতায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমেছে। পুলিশ ভাল কাজ করছে।
[আরও পড়ুন: ‘মীরজাফরের মতো কাজ করছে’, সব্যসাচীকে ইস্তফা দিতে চাপ ফিরহাদ হাকিমের]
সোমবার সকালে আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছে যান জখম কনস্টেবেলকে দেখতে। ওই কনস্টেবল বেপরোয়া বাইক ধরতে গিয়ে দিনকয়েক আগের রাতে গুরুতর জখম হন। তাঁকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “এখানে আমি গিয়েছিলাম আমাদের এক ভাইকে দেখতে। একটা বেপরোয়া বাইক ধরতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন উনি। ওই কনস্টেবলের জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা বলেছি। পুলিশ খুব ভাল কাজ করছে সব জায়গায়। রোজ রাতে নাকা চেকিং চলছে। নেশার জিনিসও উদ্ধার হচ্ছে। এই চেকিং চলবে। বেপরোয়া বাইক বন্ধ করতে পুলিশ সব ব্যবস্থা করছে।”
[আরও পড়ুন: ‘রাম নাম’-এর সঙ্গে এবার বাংলা বিজয়ে ‘মা দুর্গা’কেও হাতিয়ার করছে বিজেপি]
এদিন মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকদের সচেতন করে ফের বলেন, “শেষ এক-দু’ মিনিটের জন্যও রাফ ড্রাইভিং করবেন না৷ একটু আগে বেরোন। আমি তো ট্রেড মিল একটু কম করি। যাতে রাস্তায় বেরিয়ে তাড়াহুড়ো করতে না হয়।” মুখ্যমন্ত্রী পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যেই দুর্ঘটনা আগের থেকে কমেছে। কমেছে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুও। তিনি বলেন, “২০১৬ সাল থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত দুর্ঘটনার সংখ্যা ৩৫ শতাংশ কমেছে। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ২৭ শতাংশ। ২০১৬ সালে কলকাতায় ৪০৭ জন মারা গিয়েছিল। ২০১৮তে ২৯৪ তে নেমেছে। জখমের সংখ্যা কমেছে ৩২ শতাংশ। কমছে দুর্ঘটনা।”