সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ের ‘অপরাধ’ ভিন্ন জাতের ছেলেকে বিয়ে করা। আর তাই মেয়েকে ধর্ষণ (Rape) করে খুন করল বাবা! এমনই পাশবিক ও মর্মান্তিক এক ঘটনার সাক্ষী হল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) রতিবাদ। ভোপালের এই শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এমন ভয়ংকর ঘটনায়। ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্তকে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিজের অপরাধ কবুলও করেছে অভিযুক্ত।
দিনদুয়েক আগে সামাসগড়ের এক জঙ্গলে মিলেছিল ওই তরুণী ও তাঁর ৮ মাসের শিশুসন্তানের মৃতদেহ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে তরুণীর পরিচয়। এরপরই জানা যায় মেয়ের বিয়ে নিয়ে তাঁর পরিবার ছিল অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপর অভিযুক্তকে জেরা শুরু করতেই সে ভেঙে পড়ে কারল করে নেয় অপরাধ। জানিয়ে দেয় সে নিজেই তার মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করেছে।
[আরও পড়ুন: স্বপ্নপূরণের লড়াই, হামাগুড়ি দিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির পড়ুয়া]
বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন রতিবাদের বাসিন্দা ওই তরুণী। ভিন্ন জাতের ছেলেকে বিয়ে করার জন্য প্রতিবেশীদের নিয়মিত গঞ্জন সহ্য করতে হচ্ছিল তাঁর পরিবারকে। এই নিয়ে বচসা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই অসুখে ভুগে মারা যায় তরুণীর শিশুপুত্র। সমসগড়ের জঙ্গলে দেহটি সমাধিস্থ করতে নিয়ে যান ওই তরুণী। তাঁর সঙ্গে ছিল তার বাবাও। জঙ্গলের মধ্যে ফের উঠে আসে তরুণীর বিয়ের প্রসঙ্গ। শুরু হয় প্রবল বিতণ্ডা। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এরপরই তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করে ৫৫ বছরের ওই প্রৌঢ়। এরপরই সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে।
জানা গিয়েছে, দিওয়ালির সময় নিজের বড়দিদির বাড়িতে এসেছিলেন ওই তরুণী। সেখানেই তাঁর শিশুপুত্র মারা যায়। এরপর তাঁর দিদিই খবর দেন বাবাকে। কিন্তু কেউই ভাবতে পারেননি শেষ পর্যন্ত এমন এক ঘৃণ্য অপরাধ করবে ওই প্রৌঢ়। পরে পুলিশ তরুণীর ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ উদ্ধার করতেই ধীরে ধীরে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। অভিযুক্ত অপরাধ কবুল করেছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে।