সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এপ্রিলের গোড়াতেই গভীর রাতে লোকসভায় পাশ হয়েছিল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। পরে তা রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে যায়। ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাতে স্বাক্ষর করতেই তা আনুষ্ঠানিকভাবে আইনে পরিণত হয়। কিন্তু বিতর্ক অব্যাহত এই আইন নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে যতগুলি মামলা দায়ের হয়েছে, তারই শুনানি বুধবার। আর সেই শুনানিতেই শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তুলল, কয়েক শতাব্দী পুরনো মসজিদের ক্ষেত্রে 'সেল ডিড' কীভাবে চাওয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী আইন মুসলিম স্বার্থবিরোধী বলে অভিযোগ তুলে বড়সড় আন্দোলনের পথে হেঁটেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ। বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়েই। নয়া ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। ইসলামিক সংগঠন তো বটেই, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে। আজ, বুধবার সেই সমস্ত মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। আর সেখানে প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রের উদ্দেশে মন্তব্য করে, ''ব্রিটিশরা আসার আগে আমাদের কোনও জমি নথিভুক্তকরণের আইন ছিল না। বহু মসজিদ রয়েছে যেগুলি নির্মিত হয় চতুর্দশ, পঞ্চদশ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে। তাদের পক্ষে রেজিস্ট্রি করা সেল ডিড দেওয়া অসম্ভব। জামা মসজিদের ক্ষেত্রটিও তেমনই। ওই মসজিদ 'ভোগ-দখলে ওয়াকফ' সম্পত্তি। ২০২৫ সালের ওয়াকফ সংশোধনী আইনে এটা প্রমাণ করতে গেলে কি এর আগে থেকে ওয়াকফ আইনে লাগু 'ভোগ-দখলে ওয়াকফ'-এর আইনও শূন্য হয়ে যায় না?''
উল্লেখ্য, নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে মামলা করেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মিম বাদে তৃণমূল, সিপিআই, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, জেডিইউ, ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগ-সহ একাধিক দল রয়েছে তার মধ্যে। প্রায় প্রতিটি মামলারই মূল বক্তব্য, এই নতুন আইন মুসলিম স্বার্থবিরোধী এবং তাদের মৌলিক অধিকারে আঘাত করতে চলেছে।
