shono
Advertisement

ডালে ভাসছে মরা টিকটিকি! মধ্যপ্রদেশে মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ ৫৭ পড়ুয়া

দুপুরে খাওয়ার পরেই শুরু হয় বমি আর পেটব্যথা।
Posted: 01:33 PM Mar 30, 2022Updated: 02:03 PM Mar 30, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিড-ডে মিলের (Mid-day Meal) খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ পুরনো। ওই খাবার খেয়ে পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বহুবার ঘটেছে। কখনও টিকটিকি, কখনও পোকা, এমনকী মরা সাপও মিলেছে মিড-ডে মিলে। ফের একই ধরনের ঘটনা সামনে এল। এবারের ঘটনা মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh)। স্কুলের দুপুরের খাবার খাওয়ার পরেই যত গোলমাল! ক্লাসের মধ্যেই বমি শুরু করে এক পড়ুয়া। খানিক বাদে আরেকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। কয়েক মিনিটের মধ্যে গোটা ক্লাস অসুস্থ হয়ে পড়ে। এভাবেই মিড-ডে মিল খাওয়ার পর মধ্যপ্রদেশের একটি সরকারি স্কুলের ৫৮ জন পড়ুয়া অসুস্থ হয়। পড়ুয়াদের তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশের দিন্দোর জেলায়। কেন অসুস্থ হল পড়ুয়ারা? কী ছিল খাবারে?

Advertisement

এদিন ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের দিন্দোরি জেলার সামনাপুর ব্লকের একটি সরকারি স্কুলে। ওই স্কুলের এক শিক্ষকও জানিয়েছেন, মিড-ডে মিলের খাবার খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয় পড়ুয়ারা। সকলেরই বমি আর পেটে ব্যথার উপসর্গ ছিল। খাবার বিষক্রিয়ার (Food Poisoning) কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কী ধরনের বিষক্রিয়া?

[আরও পড়ুন: বিতর্কের অবসান, পদ্মশ্রী শিবানন্দের বয়স ১২৬-ই, জানিয়ে দিল বাংলাদেশ]

জানা গিয়েছে, খাবারের মধ্যেই ছিল মরা টিকটিকি। এক পড়ুয়া ডালের মধ্যে টিকটিকি ভাসতে দেখে। অভিযোগ, ওই পড়ুয়া ডালে টিকটিকির থাকার কথা জানালেও কেবল প্লেট বদলে দেন খাবারের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা ও কর্মীরা। কিন্তু ওই ডালই খায় বাকি পড়ুয়ারা। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদিও প্রশ্ন উঠছে, ডালে মরা টিকটিকি রয়েছে জানার পরেও পড়ুয়াদের ওই ডাল খেতে দেওয়া হল কেন?

[আরও পড়ুন: ছিঃ! বিষ খাইয়ে মারা হল শতাধিক কুকুরকে, প্রতিবাদে উত্তাল পশুপ্রেমীরা]

এই বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক বিক্রম সিং বলেন, “মোট ৫৬ জন পড়ুয়াকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। প্রত্যেকের একই উপসর্গ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে খাবারে বিষক্রিয়াতেই অসুস্থ হয়েছে সকলে।” তবে স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকের বক্তব্য, “চিকিৎসক জানিয়েছেন পড়ুয়াদের বিপদ কেটে গিয়েছে। যদিও পর্যবেক্ষণের জন্য তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়নি এখনও।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement