সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস দুয়েক আগেই দক্ষিণ গাজার রাফায় ঢুকে পড়েছে ইজরায়েলের বিশাল ট্যাঙ্কবাহিনী। ইতিমধ্যে রাফা বর্ডার ক্রসিংয়ের প্যালেস্তিনীয় অংশ দখল করে নিয়েছে তারা। সেখানে হামাসের ঘাঁটি নিশানা করে চলছে হামলা। উত্তর গাজাতেও তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ট্যাঙ্কবাহিনী। রবিবার তাদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬ জন প্যালেস্তিনীয়। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে একের পর এক বাড়ি!
উত্তর থেকে দক্ষিণ। হামাস জঙ্গিদের সমূলে নিধন করতে গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। হামলা চলছে প্যালেস্তিনীয়দের 'শেষ আশ্রয়' রাফাতেও। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, এদিন মধ্য ও পশ্চিম রাফায় একাধিক অঞ্চলে আঘাত হানে ইজরায়েলের ট্যাঙ্কবাহিনী। পাশাপাশি হামলা চলে উত্তর গাজার শেজাজা শহরেও। সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইজরায়েলের হামলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি।
[আরও পড়ুন: কয়েদির সঙ্গে জেলেই সঙ্গমে লিপ্ত মহিলা পুলিশকর্মী! প্রকাশ্যে ভিডিও]
এদিকে, রবিবার মন্ত্রীসভায় বক্তব্য রাখার সময় ফের একবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, "যতদিন আমাদের লক্ষ্যপূরণ হচ্ছে, আমরা এই লড়াই চালিয়ে যাব। হামাসকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করা, পণবন্দিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য। আর গাজা যাতে কোনওদিন আমাদের ইজরায়েলিদের জন্য বিপদ না হয়ে ওঠে তা আমরা সুনিশ্চিত করব।" অন্যদিকে, ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, শেজাজা অঞ্চলের একটি স্কুলে হামাসের অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ মিলেছে।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে ইজরায়েলের ‘হিটলিস্টে’ রয়েছে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ। মাস দুয়েক আগেই ইজরায়েলি বাহিনীর ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয়েছিল কুখ্যাত এই জঙ্গির তিন ছেলে ও নাতি-নাতনিদের। এবার নাকি ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বোমাবর্ষণে প্রাণ হারিয়েছে হানিয়েহর পরিবারের ১০ সদস্য! এই হামলায় নাকি নিহত হয়েছে তার বোনও। এমনই দাবি জানিয়েছে গাজার ডিফেন্স এজেন্সি। গত বছরের নভেম্বরে মাসে গাজায় তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলি ফৌজ। আইডিএফের অভিযোগ ছিল, ওই বাড়িতে বসেই ৭ অক্টোবরের হামলার ছক কষা হয়েছিল।