সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। কোনার্ক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মৃত কমপক্ষে ছয়। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন মানুষ। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীকাকুলামে। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে রেল।
[আরও পড়ুন: ‘বুচা গণহত্যার নিন্দা করেছি’, বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে মোদি]
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামের বটুয়া গ্রামে। ওই গ্রামে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল গুয়াহাটিগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। ট্রেন থেমে যাওয়ায় বেশ কয়েকজন যাত্রী রেললাইনে নেমে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই মুহূর্তে উলটো দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসছিল কোনার্ক এক্সপ্রেস। কেউ কেউ সরে যাওয়ার সুযোগ পেলেও বেশ কয়েক জন যাত্রী রেললাইন থেকে সরে যাওয়ার আগেই তাঁদের ধাক্কা মারে কোনার্ক এক্সপ্রেস। সেই ধাক্কায় গুয়াহাটিগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের ছয় যাত্রীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। আহত হন আরও বেশ কয়েক জন।
শ্রীকাকুলমের পুলিশ সুপার জি আর রাধিকা বলেন, ” প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গুয়াহাটি এক্সপ্রেসেরই কিছু যাত্রী চেন টেনে ট্রেনটিকে থামায়। ট্রেন থামতেই কিছু লোক রেললাইন পার করার চেষ্টা করছিলেন। এখনও পর্যন্ত আমরা ছ’জনের দেহ উদ্ধার করেছি। মৃতদের পরিচয় জানা গিয়েছে। পুলিশ ও রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা বিষয় খতিয়ে দেখছেন।” এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। আহতদের দ্রুত পরিষেবা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতীয় রেলওয়ের ১ লক্ষ ২৬ হাজার কিলোমিটারের ট্র্যাক সামর্থের বেশি চাপ বহন করে। ২০১৭ সালের প্রথম ছয় মাসে ২৯টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে, মারা গিয়েছেন ৫৭ জন। আহত হয়েছেন ৫৮ জন। ১৯ আগস্ট উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের খতৌলির কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পুরী-হরিদ্বার কলিঙ্গ উৎকল এক্সপ্রেস। লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনের ১০টি বগি। ট্রেনটি ওড়িশার পুরী থেকে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের দিকে যাচ্ছিল। ২৩ জনের মৃত্যুর খবর মেলে। গত কয়েকবছরে আরও দুর্ঘটনা দেখেছে দেশ। সেসব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার বিমানের ধাঁচে ট্রেনেও ব্ল্যাক বক্স বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রেল। এই যন্ত্রের নাম, ‘ক্রু ভয়েস অ্যান্ড ভিডিও সিস্টেম’। দুর্ঘটনা ঘটলে এর মাধ্যমে কারণ জানা সহজ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।