ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্য়োপাধ্যায়: ছয় বিধায়কের শপথ, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক, ওয়াকফ বিল নিয়ে কেন্দ্র বিরোধী তৃণমূল পরিষদীয় দলের প্রস্তাব-সব মিলিয়ে আগামিকাল বিধানসভার অধিবেশন একেবারে হাইভোল্টেজ। দিনের প্রথম অর্ধেই বিধানসভায় পৌঁছে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, বিধায়কদের শপথ পড়াতে বিধানসভায় যাবেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তবে কি শপথগ্রহণে মুখোমুখি হবেন সিভি আনন্দ বোস ও মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়? অপেক্ষায় সবমহল।
জানা গিয়েছে, দুপুর সাড়ে বারোটায় শপথের ক্ষণ ঠিক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই বিধায়কদের শপথ হবে। এর আগে বেশ কয়েক দফায় বিধায়কদের শপথ নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে টালবাহানার অভিযোগকে সামনে রেখে রাজ্য-রাজভবন সংঘর্ষের পরিস্থিতি পর্যন্ত তৈরি হয়েছিল। নানা ‘অজুহাত’সামনে রেখে আগে একাধিক বিধায়কের শপথ নিয়ে গড়িমসি করেছেন রাজ্যপাল। তবে এবার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশলেই আর সেই পথে যেতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে, ছয় বিধায়কও তাঁদের শপথ নিয়ে বেশ উত্তেজিত। তাঁরাও যে যাঁর মতো করে প্রস্তুতি নিয়েছেন।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ১২ টার অনেক আগেই পৌঁছে যাওয়ার কথা বিধানসভায়। রাজ্যপালও আসবেন শপথ অনুষ্ঠানের কিছু আগে। প্রথম পর্বে প্রশ্নোত্তর সেরে শপথ, তার পর রয়েছে কেন্দ্রের ওয়াকফ বিলের বিরোধিতায় তৃণমূল পরিষদীয় দলের প্রস্তাব। দুদিন তার উপর আলোচনা রয়েছে। আগামিকাল, প্রথম দিনের আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীরও। আগামিকাল বক্তব্য রাখার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তার মাঝেই পরিষদীয় দলের মন্ত্রী-বিধায়কদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক রয়েছে। বিকেলে রয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠক। এর মধ্যে বিজেপিও প্যাঁচে পড়ে গিয়েছে। আজ শুভেন্দু অধিকারীর বনগাঁয় কর্মসূচি রয়েছে। ফলে বিধায়কদের অধিকাংশই প্রায় গরহাজির থাকতে পারে বলে খবর ছিল। কিন্তু রাজ্যপাল বিধানসভায় এসে শপথ পড়াতে রাজি হয়ে যাওয়ায় বিপাকে বিজেপি।